করোনাভাইরাসের এই বৈশ্বিক মহামারীর সময়টিতে সামাজিক সংগঠনগুলোর ভূমিকা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি শেখ শামীমুর হক বলেন, জনসচেতনতা তৈরি, রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়-সাধনের মাধ্যমে সংগঠনগুলো কমিউনিটিতে অবদান রাখতে পারে।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল এ ক্ষেত্রে কী করছে সে বিষয়ে তিনি বলেন,
“বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়ার এখন যে উদযোগ, সেটি হচ্ছে, আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি কমিউনিটি থেকে। সরকারের উদযোগগুলো বোঝার চেষ্টা করছি। কমিউনিটির জন্য তাদের কী ব্যবস্থা, সেটা তো আমরা এখনও জানি না। সরকার শুনতে চাচ্ছে, যেমন, মাল্টি-কালচারাল নিউ সাউথ ওয়েলস, তারা আমার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। আমাকে যখন করছে, তাহলে সুনিশ্চিতভাবেই আরও শত শত, অন্যান্য কমিউনিটির যারা আছে, তাদের সাথেও করছে, তাদের কাছেও শুনছে।”
“নিজেরা আমরা যেটা করতে পারি, আমরা খোঁজ-খবর নিজেদের মধ্যে নিচ্ছি। আমাদের নিজেদের যে সেট-আপগুলো আছে, যে গ্রুপগুলো আছে, সেখানে আমরা কথা বলছি। গ্রুপ মানে হলো, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ হোক বা ফেসবুক গ্রুপ হোক, সেখানে সব তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এগুলো আমাদের এখন চলছে। কিন্তু, গভার্নমেন্ট ডাইরেক্টিভ যখন চলে আসবে বা আমাদের নিডস যখন বুঝবো যে, এগুলো আমাদের নিড, তখন এগুলোকে একটা আকার দেওয়া যাবে।”
কীভাবে গঠিত হলো বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া?
বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া গঠনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন শেখ শামীমুল হক। তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে যখন এটি প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন একেবারে শুরু থেকেই তিনি এর সঙ্গে ছিলেন।
“প্রথমে এই সংগঠনটি তৈরি হয় গাজী রুহুল হক উজ্জ্বলের হাত ধরে। এটা ১৯৯১ সালের ঘটনা এবং এটা মুখে মুখে তৈরি হয়েছিল।”
“আমি প্রথম থেকেই ছিলাম।”
“উজ্জ্বল ভাইয়ের হাত ধরে এটি হয়, তারপরে ১৯৯৫ সালে এটার প্রথম রেজিস্ট্রেশন হয়।”
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৩ থেকে তারা বৈশাখী মেলা শুরু করেন।
“বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল বললেই মানুষ বৈশাখী মেলা ভাবে। কারণটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ, বৈশাখী মেলার মধ্য দিয়েই এর জনপ্রিয়তা এসেছে।”
তবে, এর বাইরেও বহু কাজ করে থাকে বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া, বলেন শেখ শামীমুল হক।
“এর বাইরে আসলে বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল গত২০০৭-৮ থেকে, এটা আমি সভাপতিত্ব নেওয়ার এক-দুই বছর আগে থেকেই আমরা অন্যান্য কাজগুলোতে হাত দেই। আমরা বিভিন্ন সেমিনার করেছি এখানে। ১৫ আগস্ট, জেলহত্যা দিবস, তারপর এ ধরনের বিভিন্ন দিবসও আমরা করেছি। কিন্তু, তার বাইরে জনহিতকর যে জিনিসগুলো, সেগুলো হচ্ছে, যেমন, বাংলাদেশে আমরা বঙ্গবন্ধুর নামে বঙ্গবন্ধু স্কলারশিপ চালু করেছিলাম আজ থেকে ৮ বছর আগে।”
“গত বছর আমরা কোভিডের পরে কাজ করেছি নিউ সাউথ ওয়েলস সরকারের সঙ্গে, তিন মাস এক নাগারে। এবং ছয় মাস ধরে আমরা ছয়টি ওয়ার্কশপ চালিয়েছি এই কোভিডের মধ্যে এবং কোভিডের বাইরে এবং মুজিব বর্ষের একটা অংশ হিসেবে। এটা আমরা করেছি মহিলাদের নিয়ে, কনফিডেন্ট উইমেন নামে এটা করেছি।”
“আমরা প্রপার ওয়েতে চ্যারিটিগুলো করছি এবং সেটা বছরের পর বছর।”
শেখ শামীমুল হকের সাক্ষাৎকারটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।