অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিল অফ সোশাল সার্ভিস (ACOSS) এর একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে অস্ট্রেলিয়ায় জনগণের মাঝে স্বাস্থ্য-অসাম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সাধারণভাবে ধারণা করা হয়ে থাকে যে, গরিব লোকেরা তুলনামূলকভাবে কম স্বাস্থ্যবান হয়ে থাকে। এই রিপোর্টটিতে দেখা গেছে, নিম্ন-আয়ের মানুষেরা তুলনামূলকভাবে ঘরে থেকে কাজ করার কম সুযোগ পান এবং তাদের অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা থাকে; যার ফলে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আরও খারাপ আকার নিতে পারে।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
ACOSS এর চিফ একজিকিউটিভ ডক্টর ক্যাসান্ড্রা গোল্ডি বলেন, একটি সমৃদ্ধশালী, উন্নত দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার আরও ভাল অবদান রাখা উচিত।
ড. গোল্ডি বলেন, এই অসাম্য হ্রাস করার জন্য নিরাপদ ও সামর্থ্যের মধ্যে থাকা আবাসনের ব্যবস্থা করা এবং উচ্চ হারে সরকারি কল্যাণভাতা প্রদান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাস্থ্য বিষয়ক এসব অসমতার কথা উঠে এসেছে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির একটি রিপোর্টেও। এতে দেখা গেছে, ধনী অস্ট্রেলিয়ানরা ৬.৪ বছর পর্যন্ত বেশি বাঁচেন এবং এই ব্যবধান ক্রমেই বাড়ছে।
ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির মিচেল ইনস্টিটিউটের প্রফেসর রোজমেরি কল্ডার এই রিপোর্টটির লিড অথর।
এই রিপোর্টটিতে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার নিম্নতম আর্থ-সামাজিক গ্রুপের লোকদের মাঝে শতকরা ৭০ ভাগেরও বেশি শারীরিকভাবে সক্রিয় নয়। ধনীদের তুলনায় তারা তিন গুণেরও বেশি ধূমপান করে এবং তাদের দ্বিগুণেরও বেশির ডায়াবেটিস রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বলছে, এই রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে যে, অস্ট্রেলিয়ার উচিত সুগার ড্রিঙ্কের ওপরে লেভি বা কর ধার্য করা, শিশুদের উদ্দেশ্যে পরিচালিত জাঙ্ক ফুডের বিজ্ঞাপনগুলো নিয়ন্ত্রণ করা এবং অ্যালকোহল পণ্যগুলোর ওপরে কঠোরভাবে কর আরোপ করা।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।