কেমন হলো নির্বাচন?
যা হওয়ার কথা ছিল তাই হয়েছে। তারচেয়ে বেশীই হয়েছে বলা যায়। ক্ষমতাসীন দলও একতরফা বিজয় চায়নি। বিরোধী দলের আশংকার চেয়েও ভয়ংকর এই নির্বাচন।
কোন কোন আসনে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন?
ঢাকা ৫,৬ এবং ৭ আসনের নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করি। সকাল সাতটায় ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারে যাই। সেখানে মহাজোটের পোলিং এজেন্ট থাকলেও ছিল না বিরোধী পক্ষের কেউ।
ভয়- শংকার পরিবেশের পাশাপাশি ছিল মামলা- হামলা। ফলে নিজ দলের প্রার্থীর পক্ষেও কাজ করতে পারেননি বিরোধী পক্ষের নেতাকর্মীরা।
ভোটারদের প্রতিক্রিয়া কি?
ভোটাররা কেউ কথা বলেছে, কেউ বলেনি। মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছিল। মানুষের ভোট দেয়ার আগ্রহ ছিল। তবে কোথা কোথাও ধীর গতিতে চলছিল ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। নারী ভোটারদের লাইন ছিল দীর্ঘ।
সরকারি দলের লোকজন এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মিলে সরগরম রেখেছিল ভোটের মাঠ। লাইনেও দাঁড়িয়েছিলেন তারা। আর তাই এটাকে নিষ্প্রাণ ভোট বলা যাবে না।
সফিক শাহীন। Source: Supplied
কতটা স্বাধীন ছিল গণমাধ্যম?
ঢাকায় গণমাধ্যম অনেকটাই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পেরেছিল। তবে নির্বাচন কমিশনের বিধি নিষেধ অনুযায়ী ভোটকেন্দ্র থেকে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারেনি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। ফলে ভুয়া ভোট দেয়া হচ্ছে কিনা তা যাচাই করার সুযোগ ছিল না।
কোথাও কোথাও ভোটকেন্দ্রের ভিতরেও গণমাধ্যম কর্মীদের বাঁধা দেয়া হচ্ছিল। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের চেয়েও পুলিশের কাছ থেকেই বেশী বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। পুলিশের অনুমতি মিললেই ঢোকা যেত ভোটকেন্দ্রে।