১৯টি অস্ট্রেলিয়ান সংগঠন ক্যান্সার কাউন্সিলকে তাদের 'রিথিংকিং সুগারি ড্রিংক ইনিশিয়েটিভ' বা 'কোমল পানীয় পান করার আগে আবার ভাবুন' প্রচারণার জন্য সমর্থন দিচ্ছে।
এর খারাপ প্রভাব নিয়ে করা একটি টিভি এডভার্টাইসমেন্টে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে যে এর ফলে ওজন বেড়ে ওবেসিটি বা স্থূলতা, হার্ট এবং কিডনি ডিজিজ, টাইপ টু ডায়াবিটিস এবং ক্যান্সার হতে পারে।
অতিরিক্ত চিনি দেয়া কোমল পানীয় সেবনে অন্যান্য যে আরো ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে তার মধ্যে আছে দাঁতক্ষয়, প্রায় ৫০ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ান শিশু এতে ভুগছে।
শুধুমাত্র মিষ্টি কোমল পানীয় থেকেই বছরে প্রতি ছয় জনে একজন অস্ট্রেলিয়ান প্রায় ৫.২ কিলোগ্রাম চিনি খেয়ে থাকে।
৬০০ মিমিঃ ওজনের এক বোতল কোমল পানীয়তে থাকে ১৬ চা চামচের সমান চিনি।
ভিক্টোরিয়া ক্যান্সার কাউন্সিলের প্রিভেনশন ডিভিশনের প্রধান এবং 'রিথিংকিং সুগারি ড্রিংক ইনিশিয়েটিভ' প্রকল্পের মুখপাত্র ক্রেইগ সিনক্লেয়ার বলেন, বড় বড় ব্র্যান্ডগুলো মার্কেটিংয়ে বেশ প্রভাবশালী, তারা অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের অনুষ্ঠানগুলো জুড়ে থাকে নানাভাবে।
মিঃ সিনক্লেয়ার বলেন, খেলাধুলার স্থান, স্কুল, এবং অন্যান্য জায়গায় কোমল পানীয় প্রাপ্তি সীমাবদ্ধ করে দেয়া উচিত।
কিছু সংগঠন যেমন মিউজিয়াম ভিক্টোরিয়া তাদের ক্যাফেটেরিয়াগুলোতে স্বাস্থ্যসম্মত বিকল্প দিচ্ছে।
মিউজিয়াম ভিক্টোরিয়ার সি ই ও রড ম্যাক নেইল বলেন, এই ব্যবস্থা কমুনিটির জন্য ভালো হবে।
মিঃ সিনক্লেয়ার বলেন, একটু ছোট পরিবর্তন কমিউনিটির জন্য অনেক ভালো প্রভাব ফেলতে পারে।
মিঃ ম্যাক নেইল বলেন, অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও একই ব্যবস্থা নিতে পারে।
কোমল পানীয় -এর বিজ্ঞাপন এবং প্রাপ্তি একে জনপ্রিয় করতে বড়ো ভূমিকা রেখেছে, কিন্তু এর তুলনামূলক কম দামও একটি লক্ষণীয় বিষয়।
ক্যান্সার কাউন্সিলের মিঃ সিনক্লেয়ার বলেন, রিজিওনাল এলাকার লোকদের শহরের লোকদের তুলনায় কোমল পানীয়-এর পরিবর্তে অন্য কিছু বেছে নেয়ার বিকল্প কম।
মিঃ সিনক্লেয়ার বলেন, বিষয়গুলো যার যার বাড়িতেই প্রথমে আলোচনা করা উচিত, পিতামাতারা বাচ্চাদের জানাতে পারেন চিনিযুক্ত কোমল পানীয় কতটা সেবন করলে তার ক্ষতিকর প্রভাব কি হতে পারে।
'রিথিংকিং সুগারি ড্রিংক ইনিশিয়েটিভ' সামাজিক মাধ্যমে তাদের এডভার্টাইজমেন্ট ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সংলাপ শুরু করার প্রত্যাশা করছে।
পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ