করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে এবার global pandemic বা বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে ডব্লিউএইচও বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত বৃহিস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ানদের ঘুম ভাঙলো এই সংবাদে।
COVID-19 ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ১১৮,০০০ মানুষ আক্রান্ত এবং ৪,২০০ এরও বেশি মারা যাওয়ার পর এই ঘোষণা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অস্ট্রেলিয়াতে এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষ নিশ্চিতভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং এ পর্যন্ত তিন জন মারা গেছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো অস্ট্রেলিয়াও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফেডারাল সরকার ১৭.৬ বিলিয়ন ডলারের একটি উদ্দীপনা প্যাকেজের ঘোষণা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, এই পরিকল্পনার মাধ্যমে অর্থনৈতিক মন্দা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। শিক্ষানবিশ, ব্যবসা এবং পেনশনারদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রেখেই এ পরিকল্পনা করা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের এবং পরবর্তী দুটি আর্থিক বছরে উদ্দীপনাটির সামগ্রিক প্রভাব হবে ২২.৯ বিলিয়ন ডলার যা জিডিপির ১.২ শতাংশ।
ট্রেজারার জশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন যে, এই ব্যবস্থাগুলি অস্থায়ী।
করোনাভাইরাস সংকটে সহায়তার জন্য সাড়ে ছয় মিলিয়নেরও বেশি পেনশনভোগী এবং কল্যাণ ভাতা গ্রহীতাদেরকে আগামী ৩১ মার্চ থেকে ৭৫০ ডলার নগদ অর্থ প্রদান করা হবে।
৪.৮ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে নিউস্টার্ট, ডিজেবিলিটি সাপোর্ট পেনশন, কেয়ারার্স অ্যালাওয়েন্স, ইয়ুথ অ্যালাওয়েন্স, ভেটেরান্স সাপোর্ট পেমেন্টস, ফ্যামিলি ট্যাক্স বেনিফিটস, কমনওয়েলথ সিনিয়র হেলথ কার্ডধারী এবং ২.৪ মিলিয়ন এজড পেনশনারসদের জন্য।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা শিক্ষানবিশদের কাজে রাখার জন্য সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত মজুরি ভর্তুকি পাবেন।
রাজ্য পর্যায়ে, কর্তৃপক্ষ সম্প্রদায়কে স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা প্রোটোকলের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসে বেশ কয়েকটি নতুন করোনাভাইরাস আক্রান্তের ঘটনায় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন।
উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলিতে ভ্রমণকারীদের সঙ্গে কোনো যোগসূত্র ছাড়াই এই ভাইরাসটি মানুষের সংস্পর্শে ছড়াচ্ছে।
রাতারাতি নতুন ১২ জন সংক্রমিত হওয়ার পর এ রাজ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭৭ এ দাঁড়িয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গ্লাডিস বেরেজিক্লিয়ান বলেন, COVID-19 এর পরিচালনা একটি 'বিবর্তনশীল পরিস্থিতি’।
ইতালি, চীন, ইরান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের চিফ মেডিকেল অফিসার ড. কেরি চ্যান্ট বলেন, এই রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার কমে। সেজন্য পর্যটকরা এখানে আসার জন্য আগ্রহী হবেন।
তবে এখানকার অধিবাসীরা যদি তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে এই সাফল্য ধরে রাখার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
ড. চ্যান্ট জনগণকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, বিদেশ ভ্রমণের পর ফেরত এসে তারা যেন তখনই কাজে যোগদান না করেন এবং শ্বাসক্রিয়ায় কোনো সমস্যা অনুভব করলে যেন পরীক্ষা করে দেখেন।
ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য স্কুল হলিডেজও বাড়ানো যেতে পারে।
ফেডারাল এডুকেশন মিনিস্টার ড্যান টিহান বলেন, শিক্ষার্থীরা ইস্টারের স্কুল হলিডেজ বাড়িয়ে নিতে পারে।
এদিকে, ওয়াল স্ট্রিটে অস্ট্রেলিয়ার শেয়ারেরও দরপতন হয়েছে।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।