যৌন সহিংসতার ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা যেন জনসমক্ষে তাদের অভিজ্ঞতা বলতে না পারে সে বিষয়ে বিদ্যমান যে আইন রয়েছে সেটির পর্যালোচনা করার ঘোষণা দিয়েছে ভিক্টোরিয়ায় সরকার।
এই আইনটি বাতিল করার জন্য একটি ক্যাম্পেইন শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই এই ঘোষণা দেয় সরকার।
ভিক্টোরিয়ার জুডিশিয়াল প্রসিডিংস রিপোর্টস অ্যাক্ট ফেব্রুয়ারিতে প্রবর্তন করা হয়। এতে বলা হয়, যৌন আক্রমণের শিকার ব্যক্তিরা তাদের অভিজ্ঞতার কথা তাদের সত্যিকারের পরিচয়সহ প্রকাশ করলে তা আইনের লঙ্ঘন বলে গণ্য হবে; প্রসিডিং যদি পেন্ডিং থাকে, কিংবা কাউকে যদি দোষী সাব্যস্ত করা হয়, যদি না তারা আদালতের কোনো আদেশ সংগ্রহ করেন।
যৌন আক্রমণের ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের সমর্থক-গোষ্ঠী বলছে, এই আইনগুলোর লঙ্ঘন করা হলে জরিমানা এবং সম্ভাব্য কারাদণ্ড প্রদানের কথা বলা আছে। এই আইনগুলো কার্যকরীভাবে ভুক্তভোগীদেরকে নিশ্চুপ করে রাখে এবং তাদেরকে অ্যাডভোকেসি কর্মকাণ্ডে বাধা প্রদান করে।
যৌন সহিংসতার শিকার হওয়া সাংবাদিক নিনা ফানেল বুধবার সকালে #LetUsSpeak ক্যাম্পেইন শুরু করেন। ভুক্তভোগীরা যদি জনসমক্ষে তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলতে চান, তাহলে যেন তারা তা বলতে পারেন, সেজন্য আইন সংশোধন করার আহ্বান জানান নিনা ফানেল।
এ বছরের শুরুর দিকে, নিনা ফানেলের আলাদা একটি #LetHerSpeak ক্যাম্পেইনের পর, বাতিল করা হয়েছে।
নিনা ফানেল GoFundMe পেজে লিখেন,
“যাজকদের নিপীড়নের শিকার (ভুক্তভোগীরা) এবং অন্যান্য পাবলিক সার্ভাইভার সমর্থকগোষ্ঠীগুলো তাদের অন্তর্গত, যারা কথা বলার অধিকার হারিয়েছে এবং তারা আদালত অবমাননার মুখোমুখি হতে পারে, যদি তারা তাদের ক্যাম্পেইন চালিয়ে যায় কিংবা তাদের গণমাধ্যম-কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায়।”
“নতুন আইনগুলোর ফলে, এসব বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদেরকে এবং অন্যদেরকে এখন জনসমক্ষে কথা বলতে পারার জন্য, আদালতের আদেশ সংগ্রহ করার জন্য, তাদের নিজ-খরচে এবং অসুবিধাজনক অবস্থায় আদালতে ফিরে আসতে জোর করে বাধ্য করা হচ্ছে। এর ফলে ভুক্তভোগীদের হাজার হাজার ডলার খরচ হচ্ছে।”
#LetUsSpeak ক্যাম্পেইন শুরু করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এটি তিন জন ভুক্তভোগীকে আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য ২০,০০০ ডলারেরও বেশি তহবিল সংগ্রহ করেছে। জনসমক্ষে কথা বলতে পারার জন্য তারা আদালতের আদেশ চেয়েছেন।
বুধবার বিকেলে ভিক্টোরিয়ান অ্যাটর্নি-জেনারেল জিল হেনেসি বলেন, তিনি ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস এবং কমিউনিটি সেফটি-কে বলেছেন এসব আইনের আরও পরিবর্তন করার দরকার আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে।
টুইটারে তিনি বলেন,
“ভুক্তভোগীদের শক্তি এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার ক্ষমতার কথা আমি স্বীকার করি। ভুক্তভোগীরা যারা সামনে এগিয়ে আসেন এবং নিজেদের কথা বলেন, এটা একটি বিস্ময়কর সাহসিকতাপূর্ণ কাজ এবং কঠিন কাজ।”
মিজ হেনেসি বলেন, ফেব্রুয়ারির পরিবর্তনগুলো করা হয়েছে কারণ, ভুক্তভোগীদের পরিচয়-সুরক্ষিত করার জন্য আদালতের যে নিষেধাজ্ঞাগুলো ছিল, সেগুলো দেখার পরিষ্কার কোনো পথ ছিল না তাদের।
তিনি বলেন,
“আমি এই বাধাগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন, সাংস্কৃতিক এবং আইনী বাধা। এগুলো যৌন সহিংসতার শিকার হওয়া ভুক্তভোগীদের জন্য রয়ে যাচ্ছে।”
যদি আপনি কিংবা আপনার পরিচিত কেউ যৌন আক্রমণের শিকার হন, পারিবারিক কিংবা ঘরোয়া সহিংসতার শিকার হন, তাহলে কল করুন 1800RESPECT on 1800 737 732 কিংবা ভিজিট করুন . জরুরী অবস্থায় কল করুন 000 নম্বরে।