বাংলাদেশ প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট লীগে ইস্ট জোনের হয়ে তামিম ইকবাল সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে ট্রিপল সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৩৩৪ রানে অপরাজিত থেকে ক্রিকেট কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যানকে স্পর্শ করেছেন। ৪২৬ বল খেলে ৫৮৫ মিনিট ক্রিজে থেকে ৪২ চার ও ৩ ছক্কার মারে ৭৮.৪০ স্ট্রাইক রেটে তামিম ৩৩৪ রানের ইনিংসটি খেলেন।
২০০৭ সালের মার্চে রকিবুল হাসান বাংলাদেশে জাতীয় লিগে বরিশাল বিভাগের হয়ে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন। ঢাকার ফতুল্লায় সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে চারে নেমে রকিবুল অপরাজিত ছিলেন ৩১৩ রানে। ৬০৯ বল খেলেছিলেন তিনি। ক্রিজে ছিলেন ৬৬০ মিনিট! ট্রিপল সেঞ্চুরি ছুঁতে রকিবুলের লেগেছিল ৬০০ বল। দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম শ্রেণিতে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবাল। এর আগে, এ রেকর্ডের একক মালিকানা ছিল রকিবুল হাসানের। তামিম অবশ্য ছাড়িয়ে গেছেন রকিবুলের সর্বোচ্চ ৩১৩ রানের রেকর্ডও।
২০১৫ থেকে টেস্ট ও ওডিআই ওপেনের হিসাবে তামিমের যে খ্যাতি ছিল তা কিছুটা ম্লান হয়েছিল বিগত দিনের পারফরম্যান্সে। ওয়ার্ল্ড কাপ ক্রিকেটে ১৬, ২৪ এবং ১৯ রানে আউট হওয়ার পর বাংলাদেশী ক্রিকেটপ্রেমীরা অনেকটা হতাশ হয়েছিল তামিমের পারফরম্যান্সে। এছাড়াও পর পর বেশ কয়েকটি ম্যাচে আশানুরূপ ব্যাটিং করতে ব্যর্থ তামিমের প্রতি দর্শকরা মুখ ফিরিয়ে নেয়ার আগে আরেকবার ঝলসে উঠেন তিনি।
ছোট বিরতির পর তামিমের এই ফিরে আসাকে সাধুবাদ জানিয়েছে তামিম-ভক্তরা।