২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ, অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে মেয়েদের এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এই আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। সবশেষ ভারতের মাটিতে তারা চার দলের একটি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ওয়াকা স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটারদের বিশ্ব-মিশন। ২৭ ফেব্রুয়ারি নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের শেষ দুই ম্যাচ নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। মেলবোর্নে ম্যাচ দুটি হবে ২৯ ফেব্রুয়ারি ও ২ মার্চ।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে লড়বে বাংলাদেশ দল। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। সেমিফাইনাল খেলতে হলে বাংলাদেশকে গ্রুপের শীর্ষ দুই দলের মধ্যে থাকতে হবে। অন্যদিকে ‘বি’ গ্রুপের দলগুলো হচ্ছে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ড। প্রতিটি দল গ্রুপ পর্বে চারটি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। মূল পর্বের আগে বাংলাদেশ ৫ টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। তিনটির আয়োজক বিসিবি। বাকি দুটি আইসিসির। থাইল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রস্তুতি শেষ করবেন সালমারা।
বিশ্বকাপ সামনে রেখে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হয়েছে সিলেটে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা এই টুর্নামেন্টে ১০টি দল খেলবে ২৩টি ম্যাচ। ২১ ফেব্রুয়ারি শুরু বিশ্বকাপ, কিন্তু বাংলাদেশ দল ৩ ফেব্রুয়ারি ব্রিসবেনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। সালমারা ওখানে দশ দিনের ক্যাম্প করে আইসিসির ক্যাম্পে যোগ দেবেন ১৪ ফেব্রুয়ারি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল
সালমা খাতুন (অধিনায়ক), রুমানা আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), জাহানারা আলম, শামিমা সুলতানা, মোর্শেদা খাতুন, আয়েশা রহমান, নিগার সুলতানা, সানজিদা ইসলাম, খাদিজা-তুল-কোবরা, পান্না ঘোষ, ফারজানা হক পিংকি, নাহিদা আক্তার, ফাহিমা খাতুন, রিতু মনি ও সূবর্ণা মোস্তারি।
স্ট্যান্ড বাই: শায়লা শারমিন, সুরাইয়া আজমিম, লতা মন্ডল, পূজা চক্রবর্তী ও রাবেয়া।