বর্ষীয়ান ক্রিকেটের বব উইলিস মারা গেছেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। ‘লিজেন্ড অব ইংলিশ ক্রিকেট’ বব উইলিস ১৯৪৯ সালের ৩০ মে ডারহাম কাউন্টির সান্ডারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক কিংবদন্তি ক্রিকেটার বব উইলিস ১৯৭১ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের হয়ে এ ফাস্ট বোলার ৯০ টেস্টে ৩২৫ উইকেট শিকার করেছেন । ১৯৮১ সালের অ্যাশেজে হেডিংলিতে ক্যারিয়ার সেরা ৪৩ রানে ৮ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ধসিয়ে দেন ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার এ পেসার। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৯০ টেস্টে অংশ নিয়ে উইকেট প্রতি ২৫.২০ রান দিয়ে ৩২৫ উইকেট লাভ করেছেন বব উইলিস। তার এ সংগ্রহটি ঐ সময়ে বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় বোলার ডেনিস লিলি’র পর দ্বিতীয় স্থানে ছিল। বর্তমানে ইয়ান বোথাম ও জেমস অ্যান্ডারসনের পর ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে তার বোলিং পরিসংখ্যানটি তৃতীয় স্থানে আছে।
১৯৮১ সালের অ্যাশেজ সিরিজে তিনি তার নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। ৪৩ রান দিয়ে তুলে নেন ৮ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার এ বোলিং পরিসংখ্যান এখনো অন্যতম সর্বকালের সেরা পরিসংখ্যান। সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড দল ফলোঅনের কবলে পড়ে। তারপর ইয়ান বোথামের অপরাজিত ১৪৯ রান ও পরবর্তীতে তিনি ৮ উইকেট তুলে নিলে ইংল্যান্ড দল নাটকীয়ভাবে ১৮ রানে জয় পায়। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ফলো-অনে থাকার পরও জয়ের ঘটনা এটি। ২০০১ সালের পূর্ব-পর্যন্ত এ ঘটনা আর ঘটেনি।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম ফাস্ট বোলার উইলিস ১৯৭১ থেকে ১৯৮৪ সময়কালের মধ্যে টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেটে ইংল্যান্ড দলের বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছেন অনেকবার। টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি।ডানহাতে আক্রমণাত্মক ভঙ্গীমায় দীর্ঘ দৌঁড়ে ফাস্ট বোলিং করে পরিচিত হয়ে আছেন বব । ঘরোয়া ক্রিকেটে সারে, ওয়ারউইকশায়ার ও নর্দার্ন্স ট্রান্সভালের হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন তিনি। উইজডেন কর্তৃপক্ষ ১৯৭৮ সালে তাকে অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার ঘোষণা করে।প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বমোট উইকেট পেয়েছেন ৮৯৯টি। ব্যাটিংয়ে দুর্বল উইলিস প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে দুইবার অর্ধ-শতক রানের কোটা অতিক্রম করতে সক্ষম হন। ২০.১৮ রান গড়ে লিস্ট এ ক্রিকেটে পেয়েছেন ৪২১ উইকেট।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৯০ টেস্টে অংশ নিয়ে উইকেট প্রতি ২৫.২০ রান দিয়ে ৩২৫ উইকেট লাভ করেছেন বব উইলিস। তার এ সংগ্রহটি ঐ সময়ে বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় বোলার ডেনিস লিলি’র পর দ্বিতীয় স্থানে ছিল। বর্তমানে ইয়ান বোথাম ও জেমস অ্যান্ডারসনের পর ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে তার বোলিং পরিসংখ্যানটি তৃতীয় স্থানে আছে।১৯৮৪ সালে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার আগে ইংল্যান্ডের হয়ে ১৮টি টেস্ট ও ২৯টি একদিনের ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন বব। তবে খেলা থেকে একেবারেই দূরে সরে যাননি। যুক্ত ছিলো ক্রিকেটের ধারাভাষ্য ও বিশ্লেষণে। দারুন গতিময় এ পেসার অবশেষ গতি থামলো ক্যানসারের কাছে।