ব্রিটিশ ফ্যার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যৌথভাবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। গত সোমবার বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে এর প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়। এ বছরের শেষ দিকে এটি ব্যবহার করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভ্যাকসিনটির নাম রাখা হয়েছে AZD1222. করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৬০০,০০০ এরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে। এই বৈশ্বিক মহামারী বন্ধে এটি কাজে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত ১৫০টিরও বেশি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। এগুলোর গবেষণা বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি ফায়জার এবং চীনের ক্যানসিনো বায়োলজিক্স কোম্পানিও তাদের গবেষণার ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
এক্ষেত্রে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করে এগিয়ে গেছে। তাদের তৈরি ভ্যাকসিনটি মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে দেখা গেছে, এতে কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, এটি নিরাপদ ও করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত প্রথম ধাপের পরীক্ষার ফলাফলে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কো-অথর প্রফেসর সারাহ গিলবার্ট বলেন, এই ফলাফল ‘আশাব্যঞ্জক’।
“আমাদের ভ্যাকসিনটি কার্যকরি হলে এটি হবে আশাব্যঞ্জক সুযোগ। কারণ, এ ধরনের ভ্যাকসিন তাহলে ব্যাপকভাবে উৎপন্ন করা সম্ভব হবে।”
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তার সরকার এর জন্য অর্থায়ন করেছে। তবে গবেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, এই প্রকল্পটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
অক্সফোর্ডে গবেষক দল ট্রায়ালের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছে কমন কোল্ড-এর জেনেটিক্যালি মডিফায়েড স্ট্রেইন, যা শিম্পাঞ্জিকে সংক্রমিত করে।
তারা এই ভাইরাসটিকে ব্যবহার করেছে দেহের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা যেন কোভিড-১৯ সনাক্ত করতে পারে।
প্রথম ধাপে ১,০৭৭ জনের শরীরে ভ্যাকসিনটি পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, এই ভ্যাকসিনটি যাদের দেহে প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি এবং শ্বেত রক্তকণিকা (হোয়াইট ব্লাড সেল) তৈরি করে; যা শরীরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
এ সম্পর্কে ইংরেজিতে আরও পড়ুন: