করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন নিয়ে তুমুল বিতর্ক দানা বেঁধে উঠেছে

A man receiving a vaccine (Image representational)

A man receiving a vaccine (Image representational) Source: AAP

করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন এখনো তৈরীই হয়নি, অথচ এ নিয়ে বিতর্ক এখন চরমে। সম্ভবত COVID 19-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে, মূল্য ধর্তব্যের মধ্যে না নিয়ে কত লোকের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছানো যায় ।


করোনা ভাইরাসের সংকট মোকাবেলায় দিন শেষে ভ্যাকসিনই সমাধান, এভাবেই ভ্যাকসিন সরবরাহের চেষ্টা চলছে। আর জীবনকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতেই এই সমাধান।

তো সেই ভ্যাকসিন পেতেই বিশ্বে চেষ্টা চলছে এই মুহূর্তে।

এই ভ্যাক্সিনেশনের অনুমিত বিষয়টি যখন বাস্তবে রূপ পাবার চেষ্টা হচ্ছে, তখন বিশ্বে এটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

ডঃ রিক ব্রাইট একজন ইমুনোলোজিস্ট এবং ইউনাইটেড স্টেটস বায়োমেডিক্যাল অ্যাডভান্সড রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির প্রাক্তন প্রধান।

তিনি একটি ইউ এস কংগ্রেশনাল কমিটির সভায় সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য আরো কর্ম পরিকল্পনার প্রয়োজন আছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে আরো জোরালো ভাবে ভবিষ্যতবাণী করা হচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলছেন যে, ইউ এস মিলিটারি সরবরাহ কাজে সাহায্য করবে।

কিন্তু দরিদ্র দেশগুলো এবং কমুনিটিগুলো কিভাবে এই কোবিদ ১৯ ভ্যাকসিন পাবে তা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।

নিউ জিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক ওয়ার্ল্ড হেলথ এসেম্বলিতে যোগ দিতে যাওয়া স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের কাছে একটি 'খোলা চিঠির' বিষয়ে সমন্বয় করছেন।

চিঠিতে 'পিপল'স ভ্যাকসিনের' বা জনগণের ভ্যাকসিনের কথা বলা হয়েছে। এখানে কোবিদ ১৯ সম্পর্কিত সকল তথ্য-উদ্ভাবন এবং পেটেণ্ট শেয়ার করার বৈশ্বিক বাধ্য বাধকতার কথা বলা হয়েছে। এতে ধনী দেশগুলোর অর্থায়নে ভ্যাকসিন তৈরির এবং সরবরাহের দ্রুত পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে এবং তা যাতে বৈশ্বিক এবং সুষ্ঠ হয়।

এতে আরো বলা হয়েছে ভ্যাকসিন, টেস্ট, এবং চিকিৎসা যাতে সকলের জন্য এবং সবখানে বিনামূল্যে দেয়া হয় তারও গ্যারান্টি চাওয়া হয়েছে।

মিস ক্লার্ক বলেন, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ জিল্যান্ডের মত ধনী দেশগুলোর উচিত তাদের নিজেদের স্বার্থেই বাকী বিশ্বের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এই আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। মিস ক্লার্ক এই উদ্যোগের প্রতি আশাবাদী।

তবে অস্ট্রেলিয়া এই চিঠিতে সাক্ষর করে নি। তবে ফেডারেল হেলথ মিনিস্টার গ্রেগ হান্টের একজন মুখপাত্র বলেছেন সরকার এই আলোচনায় যুক্ত হবে।

সবকিছুই নির্ভর করছে ধনী দেশগুলো এবং শক্তিশালী ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর সহযোগিতার ওপর।

এ সত্ত্বেও মিস ক্লার্ক বলেন, আগের ঘটনা থেকে বলা যায় আশাবাদী হওয়ার কারণ আছে- বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া যখন সামনের কাতারে রয়েছে।

ভ্যাকসিন পেতে বহুপাক্ষিক আলোচনার চাপ থাকার পরেও কার্যকর একটি ভ্যাকসিন পেতে আরো অনেক সময় লাগবে।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন মনে করে অন্তত ১২ মাস লাগবে এই ভ্যাকসিন পেতে।

কোরোনাভাইরাস সম্পর্কে আপনার ভাষায় আরো হাল নাগাদ তথ্য পেতে ভিজিট করুন: sbs.com.au/coronavirus 

পুরো প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন
আরো পড়ুন:

Share