মেলবোর্ন থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাংলাদেশে ফিরেছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান

সাকিবের হাতে এখন ব্যথা নেই এবং আঙুলের সংক্রমণও সেরে গেছে। এখন পর্যন্ত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণেই আছে বলে দাবি করেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

Shakib Al Hasan

Sakib Al Hasan. Source: AAP

মেলবোর্নে চিকিৎসা নিয়ে গত রবিবার, ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশে ফিরেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলোতে সাকিবকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, তার হাতে এখন ব্যথা নেই এবং আঙুলের সংক্রমণও সেরে গেছে।

এর বাংলা সংস্করণের একটি প্রতিবেদনে সাকিবকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে,

“সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে প্রতি সপ্তাহে রক্ত পরীক্ষা করে জানতে হবে ব্যথা আবার বাড়ল বা অন্য কোনো সমস্যা হলো কিনা। তবে এখন পর্যন্ত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণেই আছে।”

গত ১৩ অক্টোবর তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে সাকিব লিখেন:

”I’m really touched, humbled and honoured to have such amazing and loving fans all over the country and across the world. Thank you so much for showering me with all your love, prayers and wishes. InShaaAllah, I will be able to return to the field very soon and represent our wonderful country with honour. Love - Shakib

সমগ্র বাংলাদেশ এবং বিশ্বজুরে আমার এত অগনিত এবং দারুণ সব ভক্তদের পেয়ে আমি সত্যিই অভিভূত, আবেগ আপ্লুত এবং সম্মানিত বোধ করছি। আপনাদের এত এত ভালবাসা এবং প্রার্থনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ইন শা আল্লাহ আমি খুব শীঘ্রই মাঠে ফিরবো এবং সম্মানের সাথে প্রাণপ্রিয় দেশের প্রতিনিধিত্ব করবো। আমার পক্ষ থেকে সবার জন্য ভালবাসা রইলো। 
-সাকিব”
সাকিব এখন বেশ ভাল অনুভব করছেন। তবে এখনই তিনি সার্জারি করাতে পারছেন না। সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে অন্তত ৬ থেকে ১২ মাস।

এই সময়টিকে সাকিব কাজে লাগাতে চান। এই সময়টিতে তিনি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থেকে হাতে শক্তি ফিরিয়ে আনতে চান।

১৪ অক্টোবর রবিবার দুপুরে মেলবোর্ন থেকে বাংলাদেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে সাকিব ,

“সার্জারি ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে করা যাবে না। করা যাবে না কারণ, যদি ইনফেকশন বোনের ভেতরে থেকে থাকে সেটা আসলে সরার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওখানে ব্লাড যায় না। যেহেতু অ্যান্টিবায়োটিকরা ব্লাডের মাধ্যমে ছড়ায়, যেখানে ব্লাড যায় না সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক কীভাবে কাজ করবে। তাই এটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে কোনো সার্জারি করা যাবে না।”

“কিন্তু ভালো দিক হচ্ছে সার্জারি না করেও হয়তো খেলা সম্ভব হতে পারে। এখন যেহেতু সার্জারি করার সুযোগ নেই, আমি বলেন আর ফিজিওর পরামর্শে বলেন ওই দিকটা চিন্তা করা হচ্ছে যে সার্জারি বাদে কীভাবে খেলা যায়।”

“ভাল দিকটা হচ্ছে সার্জারি না করেও হয়তো খেলা সম্ভব হতে পারে। এখন যেহেতু সার্জারির সুযোগ নেই, তাই আমি ফিজিওর পরামর্শে চিন্তা করছি সার্জারি না করে কীভাবে খেলা যায়।”

Follow SBS Bangla on .

Share
Published 17 October 2018 5:38pm
Updated 17 October 2018 5:42pm
By Sikder Taher Ahmad

Share this with family and friends