দুই মাসেরও বেশি সময় পরে সংসদ অধীবেশন পুনরায় বসলে এর আলোচ্যসূচিতে প্রাধান্য পাবে জবকিপার এবং জবসিকার পেমেন্টের ভবিষ্যৎ।
এছাড়া, লিবারাল পার্টির অভ্যন্তরীণ স্ক্যান্ডাল এবং এজড কেয়ার খাতে তাদের ব্যর্থতার প্রতিও নজর থাকবে।
সিনেটর কোরম্যান বলেন, এই পক্ষকালের অধীবেশনে প্রাধান্য পাবে জবকিপার ওয়েজ সাবসিডি বর্ধিত করার জন্য এবং জবকিপার ডৌল পেমেন্ট বৃদ্ধির জন্য লেজিসলেশন পাশ করা।
পার্থে রিপোর্টারদেরকে তিনি বলেন,
“যেসব ব্যবসা এবং কর্মরত অস্ট্রেলিয়ান এসব পেমেন্টের উপরে নির্ভর করে তাদের জন্য এগুলো বজায় রাখাটা অবধারিতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।”
ফেডারাল বিরোধী দলীয় নেতা অ্যান্থোনি অ্যালবানিজ কর্ম-সংস্থান সমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ট্রেজারি ধারণা করছে বেকারত্বের হার ১৩ শতাংশে উপনীত হতে পারে।
এবিসি রেডিও-কে তিনি বলেন,
“আজ সকালে আবারও বেকারত্বের যে পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে, এতে দেখা যাচ্ছে দুই ডিজিটের বেকারত্ব। এর মানে হলো, এ রকম বহু ব্যবসা আছে যেগুলো সত্যিই সংগ্রাম করছে এবং তাদেরকে সহায়তা করা প্রয়োজন।”
“সহায়তা আগেভাগেই প্রত্যাহার করার মানে হলো মন্দা অনেক গভীর এবং এটি দীর্ঘ মেয়াদী।”
জবকিপার স্কিমে পাক্ষিক পেমেন্ট ১৫০০ থেকে ১২০০ ডলার করা হবে সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ। এর পরে ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত এটি ১০০০ ডলারে নামিয়ে আনা হবে।
সিনেটর কোরম্যান বলেন,
“কোনো একটা পর্যায়ে আমাদেরকে সেই অবস্থায় ফিরে যেতে হবে যেখানে সক্ষম ও লাভজনক ব্যবসাগুলো তাদের কর্মীদেরকে বেতন দিতে পারবে নিজেদের উপার্জন থেকে, করদাতাদের সহায়তায় নয়।”
সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জবসিকার আন-এমপ্লয়মেন্ট বেনিফিট সাময়িকভাবে দ্বিগুণ করে সর্বোচ্চ পাক্ষিক ১১০০ ডলার করা হয়েছে।
একটি দীর্ঘ-মেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়নের আগ পর্যন্ত, এ বছরের শেষ নাগাদ এটি কমিয়ে ৮০০ ডলার করতে চায় সরকার।
লিবারাল পার্টির বিরুদ্ধে ভিক্টোরিয়ায় ব্রাঞ্চ-স্টেকিংয়ের অভিযোগ উঠেছে।
অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেজারার মাইকেল সুকার এবং বর্ষীয়ান এমপি কেভিন অ্যান্ড্রুর উপর চাপ রয়েছে এ বিষয়ে মুখ খোলার জন্য।
মন্ত্রীসভা থেকে মিস্টার সুকারকে অপসারণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি তুলেছে লেবার পার্টি।
মিস্টার অ্যালবানিজ বলেন,
“স্কট মরিসনকে কারও বলা উচিত যে, তিনি আসলে লিবারাল পার্টির দায়িত্বে রয়েছেন।”
সংসদীয় অধীবেশন পুনরায় চালু হলে এজড কেয়ার খাতের প্রতি নজর দিবে বিরোধী দল। তখন মন্ত্রী রিচার্ড কোলবেক-এর প্রতি চাপ প্রয়োগ করা হবে।
গত সপ্তাহে সংসদীয় অনসন্ধানে তিনি বলতে পারেন নি যে ফেডারাল-নিয়ন্ত্রিত নার্সিং হোমগুলোতে কতজন বাসিন্দা করোনাভাইরাসে মারা গেছেন।
কতজন বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছেন সে কথাও তিনি বলতে পারেন নি।
আগামী দু’সপ্তাহে পুরোপুরি ভিন্নভাবে সংসদ পরিচালিত হবে। কারণ, বহু এমপি এবং সিনেটর ক্যানবেরায় যেতে পারছেন না।
হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং সিনেটে ভিডিও লিঙ্কের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সদস্যরা বক্তৃতা প্রদান করতে পারবেন এবং প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবেন।
তবে তারা ভোট প্রদান করতে পারবেন না।