ভিক্টোরিয়ার প্রিমিয়ার শুক্রবার ভিক্টোরিয়াবাসীদের ধন্যবাদ দিচ্ছিলেন, কারণ রাজ্যটিতে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। রাজ্যটি গত একমাসেরও বেশি সময় ধরে একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে চলেছে।
ভিক্টোরিয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় আরো ১৭৯ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে, মারা গেছেন ৯ জন।
গত ১৩ জুলাইয়ের পর আজই ভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা দুইশতের নীচে নেমে এলো। ভিক্টোরিয়ায় ভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৩৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
ভিক্টোরিয়ার প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল অ্যানড্রুজ বলেন, “ভিক্টোরিয়াবাসী ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দারুণভাবে সহযোগিতা করেছে, তারা নিয়ম মেনেছে, তাদের চলাচল সীমিত করেছে, এবং এর ফলে এই ভয়ংকর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়েছে ।”
তবে তিনি এরপরেও সতর্ক করে দেন যে, এতে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোন সুযোগ নেই, এবং “এটা মনে করারও কোন কারণ নেই যে বিপদ কেটে গেছে”।
এদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন যে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ব্রদ্ধাশ্রম, প্রতিবন্ধী এবং অন্যান্য হেলথ কেয়ার ফ্যাসিলিটিগুলোতে ভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা কমিয়ে আনা। ভিক্টোরিয়ার বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে এখন ১৭৩২টি সক্রিয় কেইস আছে।
এদিকে নিউ সাউথ ওয়েলসে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একজন শনাক্ত হয়েছে। রাজ্যটিতে মোট সক্রিয় সংখ্যা এখন ১১১টি।
পুরো অস্ট্রেলিয়াতে সক্রিয় কেইস এখন ৪,৬৭৯ যার মধ্যে ভিক্টোরিয়াতেই আছে ৪,৪২১টি।
বিভিন্ন রাজ্যের সীমান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা নিয়ে আলোচনা
ফেডারেল এগ্রিকালচারাল মিনিস্টার ডেভিড লিটলপ্রাউড স্টেট ও টেরিটরি নেতাদের উদ্দেশ্যে আবারো বলেছেন যে, তাদের উচিত রাজ্যগুলোর সীমান্ত বিধিনিষেধের আরোপের সময় তারা যাতে সাধারণ জ্ঞান ব্যবহার করে, কভিড ১৯ বিধিনিষেধ আরোপ করতে গিয়ে তারা যাতে রিজিওনাল এবং গ্রামীণ অস্ট্রেলিয়ানদের সুবিধা-অসুবিধার কথা মাথায় রাখে ।
ধারনা করা হচ্ছে আজকের কেবিনেট মিটিঙয়ে স্থানীয় জনগণ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠাগুলোর ওপর রাজ্যগুলোর সীমান্ত বিধিনিষেধ কেমন প্রভাব ফেলছে সে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন আশা করেন যে অস্ট্রেলিয়া করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সক্ষম হবে। তবে তিনি স্বীকার করেন যে কমিউনিটির স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় সীমান্ত বিধিনিষেধ আবশ্যক।
মিঃ মরিসন কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের বিধিনিষেধ শিথিলতার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন, সেখানে চিকিৎসার জন্য বাসিন্দারা হটস্পট এলাকা ছেড়ে যেতে পারবে। তবে মিঃ মরিসন হটস্পট বলতে কি বোঝায় তার আরও ব্যাখ্যা চান।
ইউরোপে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে
ইউরোপে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্কতা জারি করেছে। ইউরোপের দেশগুলোতে এখন গড়ে প্রতিদিন ২৬,০০০ নতুন করে শনাক্ত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন শনাক্তদের বেশিরভাগই বৃদ্ধাশ্রম এবং ফুড প্রোডাকশন ফ্যাসিলিটিগুলো থেকে আসছে।
সংস্থার ইউরোপ অফিসের প্রধান হ্যান্স ক্লুগে বৃহস্পতিবার বলেন, ইউরোপ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে অভূতপূর্ব প্রচেষ্টা চালিয়েছে, কিন্তু এই ভাইরাস আবার নতুন করে ফিরে আসছে।
স্পেনে গত দুদিনে উপূর্যপুরী ৩,০০০ করে ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, এদিকে জার্মানী ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী বিপুল প্রশংসা পেলেও গতকাল সেখানে নতুন করে ১৭০০ জন শনাক্ত হয়েছে যা এপ্রিলের পর থেকে সর্বোচ্চ।
গ্রীসের কর্মকর্তারা বলেছেন যে গত দুইমাসের তুলনায় অগাস্ট মাসে সংক্রমণে সংখ্যা বেশি রেকর্ড করা হয়েছে, এদিকে রাশিয়াতে সংক্রমণ গত চারদিন ধরে প্রতিদিন ৫,০০০-এর নীচে থাকছে।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রত্যেককে একে অপর থেকে ১.৫ মিটার দূরত্বে অবস্থান করতে হবে। আপনার রাজ্যের বিধিনিষেধগুলো দেখুন। আপনি যদি ঠাণ্ডা বা ফ্লুয়ের মত উপসর্গ অনুভব করেন তাহলে চিকিৎসককে ফোন দিন অথবা করোনা ভাইরাস হেলথ ইনফর্মেশন হট লাইন ১৮০০০২০০৮০ এই নাম্বারে ফোন দিন। এ সংক্রান্ত আরও খবর ও তথ্য আপনার ভাষায় জানতে ভিজিট করুনঃ
আরও পড়ুনঃ