শুক্রবার ভারত - অস্ট্রেলিয়া সার্কুলার ইকোনমি হ্যাকাথনে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, দুই দেশের যুবশক্তির দক্ষতা ও চিন্তাভাবনার উপর তাঁর আত্মবিশ্বাস রয়েছে।তারা শুধুমাত্র ভারত ও অস্ট্রেলিয়া নয়, গোটা বিশ্বের আস্থা অর্জন করতে পারবে। সার্কুলার অর্থনীতির মাধ্যমে বহু সমস্যার সমাধান সম্ভব।
পুনঃব্যবহার, সম্পদের উন্নতিকরণ মানুষের জীবনযাত্রার অংশ। তার জন্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় দক্ষতা-দ্রুততা কোনও সমস্যার সৃষ্টি করে না। যদি প্রক্রিয়াকরণের দিক ভুল হয়, তাহলে তা ভুল গন্তব্যে পৌঁছতে বাধ্য।জানা গেছে, অর্থনীতির পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে ফেসবুকের কনটেন্ট বন্ধ করার বিষয়েও আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অস্ট্রেলিয়ায় সংবাদ কনটেন্ট দেখা বা শেয়ার করার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক কতৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় মিডিয়া সংক্রান্ত নয়া প্রস্তাবিত আইনের জবাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা।
এদিকে সমুদ্রে যুদ্ধের কৌশল ঝালিয়ে নিতে ভারত মহাসাগরে ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে ভারতীয় নৌসেনা। দু’দিন আগেই এমন কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সেই দাবিকে অস্বীকার করেছে ভারতীয় নৌসেনা। এক বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে নৌসেনার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারত ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভুল।
এর আগে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, মঙ্গলবার থেকে ভারত মহাসাগরের উত্তরে যৌথ মহড়া শুরু করেছে ইরান ও রাশিয়া।এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে, ইরান-রাশিয়া মেরিটাইম সিকিউরিটি বেল্ট ২০২১। তাদের সূত্র অনুযায়ী,ইরানি নৌসেনার মুখপাত্র গোলাম রেজা তাহানি এমন দাবি করেছেন।
এমনকী তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, নৌ-মহড়ায় চিনও যোগ দেবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইরান নৌসেনার কমান্ডার হোসেন খানজাদি।কিন্তু ভারতের তরফে এবার জানিয়ে দেওয়া হল তারা এমন কোনও মহড়ায় অংশ নেয়নি।
এর মধ্যে,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে একতার বার্তা দিয়েছিলেন তা যেন কেউ না ভোলে। ভারত - অস্ট্রেলিয়া সার্কুলার ইকোনমি হ্যাকাথনের পরই বিশ্বভারতী বিশ্ব বিদ্যালয়ের সমাবর্তনে এমনই আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিশ্বভারতীকে দেশের গৌরব বলে উল্লেখ করার পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথের একের পর এক কবিতার আবৃত্তিও করেছেন তিনি।পাশাপাশি বাংলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতের প্রেরণাস্থল বাংলা।প্রধানমন্ত্রী অবশ্য সশরীরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি ভারচুয়াল ভাবেই যোগ দেন সমাবর্তনে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ নিশঙ্ক। নিজের বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী দুঃখপ্রকাশ করেন সশরীরে অনুষ্ঠানে থাকতে না পারার জন্য। শুক্রবার ছিল ছত্রপতি শিবাজির জন্মদিন,সেই উপলক্ষে তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই রবীন্দ্রনাথের শিবাজি উৎসব কবিতাটির কিছু অংশ আবৃত্তি করেন তিনি।
মনে করিয়ে দেন এই কবিতার মাধ্যমেও রবীন্দ্রনাথ দেশের একতার কথাই বলতে চেয়েছেন। পরে বাংলার মাটি, বাংলার জল গানের পঙক্তির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, বাংলার জয়গানের পাশাপাশি কবিগুরু তাঁর লেখায় ভারতের মহামানবের সাগরতীরে দেশের পুণ্য তীর্থের উল্লেখ করেছেন।সেই সঙ্গে দেশের যুব সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর বিশ্বাসের কথাও বলেছেন তিনি।
তাঁর মতে,দেশের ভবিষ্যতকে বদলানোর ক্ষমতা রয়েছে দেশের যুবশক্তির। তাঁদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, আপনাদের কেবল সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনারা সমস্যার সমাধান করতে চান নাকি সেটার অংশ হয়েই থাকতে চান। তিনি আরও জানান,সাফল্য-অসাফল্য ভবিষ্যৎকে নির্মাণ করে না। সিদ্ধান্ত নিতে কখনও ভয় পাওয়া উচিত নয়।
আরো দেখুনঃ