হাইলাইটস
- সিডনির বেলমোরের পিল পার্কে নির্মিত হলো দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্মৃতিসৌধ।
- এর নামফলকে ১৯৫২ সালে ঢাকায় ঘটে যাওয়া ভাষা-আন্দোলনের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে।
- একুশে অ্যাকাডেমি অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে ২০০৬ সালে সিডনির অ্যাশফিল্ড পার্কে নির্মিত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার প্রথম স্থায়ী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্মৃতিসৌধ।
২০০৬ সালে সিডনির অ্যাশফিল্ড পার্কে বাংলাদেশীদের উদ্যোগে নির্মিত হয় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম স্থায়ী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্মৃতিসৌধ। একুশে একাডেমী অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে নির্মিত সেই স্মৃতিসৌধটির পর সিডনির বাংলাভাষী-অধ্যুষিত এলাকা লাকেম্বায় দ্বিতীয় একটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি উঠে।
ক্যান্টারবেরি-ব্যাংকসটাউন সিটি কাউন্সিলের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাজমুল হুদা বলেন,
“তিন বছর আমরা এটি নিয়ে কাজ করলাম। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ছিল কাজে। সেই প্রতিবন্ধকতা দূর করে আমরা আজকে এ পর্যন্ত কমিউনিটির সকলের সাহায্যে আমরা এই মনুমেন্টটি এখানে করতে পারলাম।”এর পেছনে যারা বিশেষভাবে অবদান রেখেছেন তাদের সকলের নাম তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন:
২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সিডনির লাকেম্বার নিকটবর্তী বেলমোরের পিল পার্কে উদ্বোধন করা হলো আরেকটি নতুন মাতৃভাষা স্মৃতিসৌধ। Source: S M Aminul Wrubel
“বাংলা হাবের মুনির ভাই, কাউন্সিলর-কলিগ মোহাম্মদ শাহে জামান টিটু ... তার অবদান ছিল। মুনির ভাই অরিজিনালি শহীদ মিনার করবেন, এই ধারণাটি আমার মাথায় দেন তিনি।”
“সেই শহীদ মিনারটি আমরা বাংলাদেশের অবয়বে করতে পারি নি। কিন্তু, ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ মনুমেন্ট, যেটি আরও বেশি যথার্থ, অস্ট্রেলিয়ান সংস্কৃতির সঙ্গে, সেটি আমরা করতে সক্ষম হয়েছি।”
এই স্মৃতিসৌধটির অন্যতম উদ্যোক্তা বাংলা হাব ইনক-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মুনির বিশ্বাস বলেন,
“আবহমান বাংলা সংস্কৃতি ও ভাষা এবং একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ২০১৮ সালে আমি এই মনুমেন্টটি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করি এবং আমাদের বাংলা হাবের আর্ট ডিরেক্টর পার্থ প্রতীমের সাথে একটি প্রাথমিক নকশা দাঁড় করাই এই মনুমেন্টটির জন্য।”
“প্রথমে যোগাযোগ করি আমাদের ক্যান্টারবেরি-ব্যাংকসটাউনের বাঙালি কাউন্সিলর জনাব নাজমুল হুদার সঙ্গে। উনি আগ্রহের সঙ্গে আমার প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন এবং উনি আমাকে পরামর্শ দেন বিভিন্নভাবে, একটা দাপ্তরিক প্রস্তাবনা পেশ করার জন্য কাউন্সিলের মেয়রের কাছে। এরপর আমি দাপ্তরিকভাবেই প্রস্তাবটি পেশ করি কাউন্সিলে এবং কাউন্সিলর নাজমুল হুদা কাউন্সিল মিটিং-এ এটা উত্থাপন করেন। অন্যান্য কাউন্সিলরদের সহযোগিতায় এটি কাউন্সিলে পাশ হয়।”
কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাজমুল হুদা এবং মুনির বিশ্বাসের সাক্ষাৎকার শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
READ MORE
আজ মহান একুশে ফেব্রুয়ারি