প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার সমগ্র অস্ট্রেলিয়াতে রয়েছে দেখার মতো শত শত স্থান। অনেককেই এ সময় দেখা যায় অস্ট্রেলিয়ার এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে ছুটে বেড়াতে।ভিক্টোরিয়া রাজ্যের মেলবোর্নে থাকেন কাজী নাহিদ হায়দার। ক্রিসমাস এবং নতুন বছরের ছুটির এসময়টাতে বাসাতেই থাকেন তিনি। সারা বছর ব্যস্ত সময় পার করে এ সময়টা নির্ঝঞ্ঝাট কাটাতে তার বেশ লাগে। তবে এবার তার সিডনি থেকে আত্মীয় স্বজনরা আসবেন; তাদের নিয়ে ভিক্টোরিয়ার সব আকর্ষণীয় জায়গাগুলো ঘুরে বেড়াবেন তিনি। এবার তার ঘুরতে যাওয়া স্থানের তালিকায় আছে মাউন্ট গ্যাম্বিয়ার, গ্রেট ওশান রোড, টুয়েলভ এপোস্টলস ইত্যাদি।সাউথ অস্ট্রেলিয়ার এডিলেইডে থাকেন অয়ন ইসলাম। অয়ন জানান, এখানকার বাংলাদেশিরা এ সময়টাতে স্কুল হলিডের কারণে অনেকেই বাংলাদেশে যান, তিনিও এসময়টাই পছন্দ করেন। তবে সব সময়ই এটা হয়ে উঠে না, প্রবাস থেকে দেশে যাওয়ার বিড়ম্বনা তো আছেই, সেই সাথে সময়-সুযোগ-সামর্থ্য মিলিয়ে দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে হয়।
কাজী নাহিদ হায়দার Source: Supplied
অয়ন ইসলাম Source: Supplied
তবে তিনি পরিবার নিয়ে এ সময়ে ইন্টারস্টেট ট্রাভেল বা এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসেন। "এবং এটা অস্ট্রেলিয়ান সংস্কৃতির অংশও। অনেকেই অপেক্ষা করেন এ সময়টার জন্য।"
তবে অয়ন এবার তিনি খুব বেশি দূরে যাবেন না, তিন দিনের জন্য এডিলেইড থেকে তিন ঘন্টার ড্রাইভ, এমন দূরত্বে কোথাও ঘুরতে যাবেন।জান্নাতুল ফেরদৌস নৌজুলা থাকেন ভিক্টোরিয়ার মেলবোর্নে, সাধারণত তিনি ছুটির এ সময়টাতে বাসাতেই রিল্যাক্স করতে পছন্দ করেন। তবে এবার তার কাটবে বেশ ব্যস্ত সময়, কারণ তার মা আর বড় বোন আসছেন তাদের দেখতে। পুরো পরিবার নিয়ে তিনি যাবেন তাসমানিয়া, সিডনি, ক্যানবেরা, কেয়ার্নস।
জান্নাতুল ফেরদৌস নৌজুলা Source: Supplied
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পার্থের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বোস ছুটির এ সময়টা বেশ এডভেঞ্চারের মধ্যে কাটান তিনি। তবে এ বছর তার দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা। তিনি সাধারণত ছুটির সময়টাতে তার নিজের রাজ্য ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া থেকে বেড়িয়ে পড়েন।
বিশ্বজিৎ বোস Source: Supplied
গত বছর পরিবার নিয়ে তিনি এক দুঃসাহসিক সড়ক যাত্রায় পার্থ থেকে শুরু করে এডিলেইড, সেখান থেকে মেলবোর্ন হয়ে ক্যানবেরা এবং সিডনি গিয়েছিলেন, উদ্দেশ্য ছিল থার্টি ফার্স্ট নাইট এবং নতুন বছর বরণ করবেন সিডনিতে। আসার সময়ও একই ভাবে সড়ক পথে ফিরে এসেছেন তিনি।
শুনতে সহজ হলেও তিনি মজা করে বলেন, "কোন বাঙালিকে এখনো বলতে শুনিনি যে কেউ ড্রাইভ করে পার্থ থেকে সিডনি গেছেন।"
বিশাল দেশ অস্ট্রেলিয়ার অনেক স্থান এখনো দেখার বাকি আছে তার, তাই ভবিষ্যতে একই ভাবে সড়ক পথে নর্দার্ন টেরিটরি যাবেন তিনি।
মেলবোর্নের তরুণ বাসিন্দা সালমান আরিফ রিটেলে কাজ করেন। ক্রিসমাস এবং বক্সিং ডে'র ছুটিতে তিনি কাজ করেন। যেহেতু তার কাজের জায়গায় অনেকেই খ্রীষ্টমাস পালন করেন তাই অনেকেই ছুটিতে থাকায় কর্মীর অভাব হয় রিটেলে। তার কাছের বন্ধুরা বাবা মায়ের সাথে দেখা করতে নিজ নিজ হোমটাউনে চলে যান।তবে ছুটি কাটাতে অন্য সময়টা বেছে নেন তিনি। যেমন কিছুদিন আগে বালি ঘুরে এসেছেন। জানুয়ারির শেষে বন্ধুদের নিয়ে তার গোল্ড কোস্ট ভ্রমণের ইচ্ছা আছে।
সালমান আরিফ Source: Supplied
তাছাড়া ছুটিতে বাসাতেই রিল্যাক্স করতে পছন্দ করেন সালমান, অনলাইনে মুভি দেখে বেশ ভালোই সময় কাটে তার।
আরো পড়ুন :