'পাঠশালা' স্কুলের শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা সাহা বাংলা ভাষা চর্চ্চার তাৎপর্য্য সম্পর্কে বলেন, "আমরা যারা হৃদয়ে বাংলা ভাষা ধারণ করি, এটা আমরা ভাবতেই পারি না যে আমার পরবর্তী প্রজন্ম বাংলা জানবে না; আর এই ভাবনা থেকেই পার্থে বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।"
তবে উদ্যোক্তাদের মধ্যে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও আছে, তার মধ্যে বড় ইস্যু হলো শিক্ষার্থীদের সংখ্যা।তিনি বলেন, " অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় তাদের এখানে প্রবাসী বাংলাভাষীদের সংখ্যা কম, তাই শিক্ষার্থীও কম, শুরুতে তারা বেশ সাড়া পেলেও ধীরে ধীরে তাদের অভিভাবকদের মধ্যে নানা কমিটমেন্টের কারণে আগ্রহের কমতি দেখা যায়।"
Perth's Pathshala Bangla school teacher Mrs Sharmistha Saha Source: Supplied
তবে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের আগ্রহী করে তুলতে তারা নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, গল্প বলার ছলে শেখানো, বা স্পোর্টস একটিভিটি ইত্যাদি।
তাদের এসোসিয়েশন বাওয়া (BAAWA) বাংলা স্কুলের মাধ্যমে ভাষা শেখানো ছাড়াও বাংলা সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস, নববর্ষসহ গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে নানা ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন যেখানে বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা নৃত্য-গীত, নাটকসহ বিভিন্ন সাংকৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। এছাড়া বাওয়া প্রতি বছর অগাস্ট মাসে বাংলা কনসার্ট আয়োজন করে থাকে এবং এতে তারা বেশ সাড়া পান।বাংলা ভাষা শিক্ষাকে আরো আনুষ্ঠানিকতা দিতে তারা একটা কারিকুলাম তৈরী করতে চান যাতে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে শিক্ষার্থীরা বাংলাকে তাদের পাঠক্রমে গ্রহণ করতে পারে। তিনি বলেন, তারা ইতিমধ্যেই এমন একটি পাঠক্রম তৈরী করেছেন, তবে এটিকে আরো উন্নত করতে চান।
Bangla speaking children in Perth performing in a cultural program Source: Supplied
তবে সব কিছুই নির্ভর করছে অভিভাবকদের আগ্রহের ওপর।
তিনি পার্থের বাংলাভাষী কম্যুনিটির কাছে অনুরোধ করে বলেন, " বাংলা তাদের প্রাণের স্পন্দন, এজন্যই বাংলা স্কুলের প্রতিষ্ঠা। শিক্ষার্থীদের বাবামায়েরা যদি একটু কষ্ট করে তাদের অন্যান্য কমিটমেন্টের পাশাপাশি বাংলা স্কুলে সন্তানদের নিয়ে আসেন, তবেই আমাদের এই উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টা সার্থক হবে। "
পুরো সাক্ষাতকারটি শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন