বিএসপিসি সংগঠনের সভাপতি বিশ্বজিৎ বসুর শুভেচ্ছা বক্তব্য এবং মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যেমে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। “স্বপ্নযাত্রা” একটি গল্প নির্ভর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে মা (জয়িতা) এবং তার দুই ছেলে (অজয় ও বিজয়) এর সাথে এক নিবিড় স্নেহ মমতাপূর্ন সম্পর্ক নিয়ে আবর্তিত হয়। মমতাময়ী মা যে সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সকল স্বপ্ন ও বর্ণিল কর্মজীবন ছেড়েছিলেন সে কথা বড় ছেলে অজয় জানতে পারে মায়ের লেখা ডায়রি পড়ে। সে জানতে পারে অতীত কর্মক্ষেত্রে মায়ের প্রতিবন্ধকতা কথা, জানতে পারে তার মায়ের স্বপ্ন।অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব জয়িতার অতীত জীবন চিত্রায়ীত করা হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতিনাট্য চিত্রাঙ্গদার নির্বাচিত অংশ, ঝুমুর গান বলি ও ননদি এর সাথে ছোট্ট নাটিকা, রাধা রমনের গান ভ্রমর কইও গিয়া, শিশু- কিশোরদের অংশ গ্রহনে শর্ট মিউজিকাল ডান্স- ড্রামা আমরা সবাই রাজা, রবীন্দ্র সংগীত খেলাঘর ও কবিতা যুগলবন্দি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।দ্বিতীয় পর্বে শুরু হয় বাংলার ঐতিহ্যবাহী রান্না বিষয়ক গান নাচ দিয়ে, এরপর পরিবেশিত দূর্নীতি বিরোধী নাটিকা ”দু:স্বপ্ন”। অনুষ্ঠানে ইরানিয়ান কমিউনটি এবং নেপালী কমিউনিটির সদস্যরা পরিবেশন করে ইরান এবং নেপালের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য।এরপর বৈশ্বিক ও মানবিক আহবান নিয়ে শিশু কিশোররা সমবেত ভাবে পরিবেশন করে গান We are the world ও মল্লিকা সেনগুপ্তের কবিতা আমার দূর্গা এর সাথে নাচ। অনুষ্ঠান শেষ হয় রবীন্দ্রনাথের আগুনের পরশমণি গানটি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। অনুষ্ঠান পরিকল্পনা এবং গ্রন্থনায় ছিলেন বিএসপিসির সাংস্কৃতিক সম্পাদক সঙ্গীতা সাহা।
Bangladeshi community in Perth Source: Supplied
Guests speaking to audience during the program Source: Supplied
Children performing dance Source: Supplied
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথী পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া সরকারের মন্ত্রী পল পাপালিয়া এমপির প্রতিনিধি হিসাবে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ক্রিস টেলেনটায়ার এমপি। সম্মানিত অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া পার্লামেন্টের সাবেক চিপ হুইপ এড ডারমার। বিশেষ অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া এসোসিয়েশসেনর সভাপতি ডা: সাহেদিন স্বাধীন, নেপালি এসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মনি পানারু, ইরানিয়ান কমিউনিটির সভাপতি মি. মর্তুজা, ইন্ডিয়ান এসোসিয়েসনের সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় গুহ এবং পশুপতি নাথ বুদ্ধনাথ সভাপতি রশনি শেরপা।সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক সঙ্গীতা সাহার সমাপনি বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।