Breaking

নিউ সাউথ ওয়েলসে স্কুুল খোলা থাকলেও শিশুদেরকে ঘরে রাখতে বললেন প্রিমিয়ার গ্লাডিস বেরেজিক্লিয়ান

নিউ সাউথ ওয়েলসে ছয় শতাধিক ব্যক্তি কোভিড-১৯ এ সুনিশ্চিতভাবে আক্রান্ত হয়েছে। সামাজিক মেলামেশা বন্ধ করা সহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ।

Premier Gladys Berejiklian

Gladys Berejiklian, premiê de NSW, pediu aos pais que mantenham os filhos em casa mas manteve as escolas abertas Source: AAP

দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অপরিহার্য নয় এ রকম সেবাগুলো বন্ধ করছে নিউ সাউথ ওয়েলস। তবে, এখনকার জন্য স্কুলগুলো খোলা থাকবে।

প্রিমিয়ার গ্লাডিস বেরেজিক্লিয়ান অভিভাবকদেরকে উৎসাহিত করছেন তাদের সন্তানদেরকে এই টার্মের বাকি সময় পর্যন্ত যদি সম্ভব হয় ঘরে রাখার জন্য।

সোমবার তিনি রিপোর্টারদেরকে বলেন,

“এই অনিশ্চিত সময়ে আমরা আমাদের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং সমস্ত ফ্রন্টলাইন কর্মীদের, যারা কমিউনিটিকে সচল রাখতে কাজ করছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।”

“যাহোক, কোনো শিশু ফিরে যাবে না, স্কুলগুলো খোলা থাকবে।”

“সিদ্ধান্ত আপনার।”
চিফ হেলথ অফিসার ড. কেরি চ্যান্ট বলেন, স্কুলগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত “একটি বাস্তবসম্মত” সিদ্ধান্ত ছিল।

সোমবার সকালে নিউ সাউথ ওয়েলস হেলথ এই রাজ্যে আরও ১৩৬ টি কোভিড-১৯ কেস নিশ্চিত করেছে। ফলে এ রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৬৬৯ এ পৌঁছেছে।

মঙ্গলবার থেকে এসিটি ও ভিক্টোরিয়ায় স্কুল বন্ধ

করোনাভাইরাসের কারণে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে এসিটি এবং ভিক্টোরিয়ায় স্কুলগুলো বন্ধ করা হবে। তবে, অন্যান্য স্টেট ও টেরিটোরিগুলো এখনও ইস্টারের ছুটির আগ পর্যন্ত স্কুল খোলা রাখতে চাচ্ছে।

আগে-ভাগেই শাটডাউন করার জন্য স্কুল হলিডেজ এগিয়ে নিয়ে এসেছে ভিক্টোরিয়া। এসিটিতে স্কুলগুলো শিক্ষার্থী-মুক্ত করা হচ্ছে এবং অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এসিটিতে শিক্ষার্থীদেরকে প্রয়োজন অনুসারে মুখোমুখি শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থাও থাকছে।
স্কুল বন্ধ করার ক্ষেত্রে কোনো কোনো স্টেট একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা তাদের সন্তানদেরকে ক্লাসের বাইরে রাখতে চান তারা টার্ম ওয়ান শেষ হওয়া পর্যন্ত তা করতে পারেন।

এই বৈশ্বিক মহামারীরর সময়ে স্কুলগুলো খোলা রাখার উপর জোর দিচ্ছেন স্কট মরিসন। তিনি বলেন, সেই সময়ের মেডিকেল অ্যাডভাইস অনুসারে টার্ম টু এর জন্য ক্যাম্পাস পুনরায় খোলা হবে।

মিস্টার মরিসন বাবা-মায়েদেরকে সতর্ক করে বলেন, তাদের সন্তানরা যদি স্কুলে না যায়, তাহলে তাদের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে হবে বাবা-মা’কেই।
ফেডারাল এডুকেশন মিনিস্টার ড্যান টিহান বলেন, তিনি ও স্টেট ও টেরিটোরিগুলোতে তার কাউন্টারপার্টরা চান নি যে, এই বৈশ্বিক মহামারীর কারণে শিশুদের পড়াশোনার একটা বছর নষ্ট হোক।

এবিসি-কে তিনি বলেন,

“আমরা চাই আমাদের শিশুরা এই কোভিড-১৯ এর প্রাদূর্ভাবের মধ্যে যতোটা সম্ভব তাদের পড়াশোনা চালিযে যাক।”

মিস্টার টিহান আরও বলেন পরিস্থিতি সঙ্কটপূর্ণ, স্কুলগুলো খোলা রাখা হচ্ছে অসহায় শিশুদের জন্য এবং অপরিহার্য সেবা প্রদানকারী কর্মীদের সন্তানদের জন্য।

করোনাভাইরাসের লক্ষণ, ফেডারাল সরকারের ওয়েবসাইট অনুসারে, হাল্কা অসুস্থ্যতা থেকে নিওমোনিয়ার মতো হতে পারে। এ ছাড়া জ্বর, কাশি, গলায় প্রদাহ, অবসাদ এবং শ্বাস-কষ্টও দেখা দিতে পারে।

রবিবার সকাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, যে-সব ব্যক্তি সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণ করে এসেছেন কিংবা সুনিশ্চিতভাবে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে এসেছেন এবং গত ১৪ দিনে তার শরীরে এর লক্ষণ দেখা দিয়েছে, তাদেরকে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

আপনি যদি মনে করেন যে, আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাহলে আপনার ডাক্তারকে কল করুন। ডাক্তারের কাছে যাবেন না। আপনি ন্যাশনাল করোনাভাইরাস হেলথ ইনফরমেশন হটলাইনেও কল করতে পারেন এই নম্বরে: 1800 020 080

আপনার যদি শ্বাস-কষ্ট কিংবা মেডিকেল ইমার্জেন্সি দেখা দেয়, তাহলে 000 নম্বরে কল করুন।

Follow SBS Bangla on .


Share
Published 23 March 2020 10:55am
Updated 25 March 2020 6:12pm
Presented by Sikder Taher Ahmad


Share this with family and friends