নতুন অত্যাধুনিক মোবাইল রোড সেফটি ক্যামেরাগুলি একাধিক লেন এবং বিভিন্ন দিক জুড়ে একযোগে একাধিক গাড়িচালককে ধরে ফেলতে পারে এবং ঘন্টায় ৩৫০ কিলোমিটার অবধি গতি সনাক্ত করতে পারে।
এই নতুন প্রযুক্তিটি বিপজ্জনক ড্রাইভারদের সনাক্ত করে এবং তাদের আচরণ বদলাতে সহায়তা করবে। এতে সড়ক দুর্ঘটনাজনিত ট্রমা হ্রাস পাবে এবং রাস্তায় জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে সরকার থেকে প্রত্যাশা করা হয়েছে।
ক্যামেরাটি যে রাস্তার পাশেই বসানো হোক না কেন এটি দিক নির্বিশেষে উভয় দিকেই ছয়টি লেনের ট্র্যাফিকের গাড়ি চালকদের সনাক্ত করতে পারে।
এর মধ্যে রয়েছে রাডার প্রযুক্তির ট্র্যাকিং এবং এটি স্টিলের বাধা, মিডিয়ান স্ট্রিপ বা ট্রাম চলাচলের মধ্যেও কাজ করবে। বর্তমানে চালু থাকা ক্যামেরাগুলো প্রতিস্থাপন করে পরের বছর ধরে ধীরে ধীরে এগুলি চালু করা হবে।
দিন বা রাতে ক্যামেরাগুলি উঁচুমানের ছবি তুলতে পারে যা নিশ্চিত করবে যে যারা স্পীডিং করে মানুষের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে দেবে তারা স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে।
ভিক্টোরিয়ার লেবার সরকার ২০১৯-২০ বাজেটে মোবাইল ক্যামেরা এনফোর্সমেন্টের জন্য ১২০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে।
সরকার থেকে দাবি করা হয়েছে এই মোবাইল ক্যামেরাগুলি এনফোর্সমেন্টের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ নতুন গবেষণা নিশ্চিত করে যে মোবাইল ক্যামেরাগুলি সড়ক দুর্ঘটনা এবং ট্রমা হ্রাস করার জন্য সবচেয়ে কার্যকর।
মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় এক্সিডেন্ট রিসার্চ সেন্টারের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে মোবাইল সেফটি ক্যামেরা প্রোগ্রামটির সক্ষমতা ৭৫ শতাংশ বাড়লে প্রতিবছর ৬০ জনের প্রাণ বাঁচবে এবং ২৬০ টি গুরুতর দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা যাবে।
ভিক্টোরিয়া পুলিশের বর্তমানে প্রায় ২০০০ সাইট রয়েছে যেখানে তারা মোবাইল রোড সেফটি ক্যামেরা স্থাপন করেছে। নতুন প্রযুক্তিটি ভিক্টোরিয়া পুলিশকে ব্যস্ত প্রধান সড়ক ও মহাসড়কের পাশাপাশি উপশহরগুলোর ছোট ছোট রাস্তায় ক্যামেরা স্থাপন করতে সক্ষম করবে।
মিনিস্টার ফর পুলিশ এন্ড এমার্জেন্সি সার্ভিসেস লিসা নেভিল বলেন, "আমরা দেখি যে এখনও অনেক অনেক লোক মনে করে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালালে কারও ক্ষতি হবে না - অথচ এর জন্য অনেক প্রাণহানি ঘটছে।"
"এই ক্যামেরাগুলি জীবন বাঁচাতে সহায়তা করবে এবং আমাদের বার্তাটি পরিষ্কার - আপনি রাস্তায় স্পীডিং করলে ধরা পড়বেন এবং এর পরিণতির জন্য তৈরী থাকবেন।"
মিনিস্টার ফর রোডস এন্ড রোড সেফটি এন্ড দ্য টিএসি জালা পুলফোর্ড বলেন, "এই বছর আমাদের রাস্তায় মৃত্যুর সংখ্যাটি হৃদয় বিদারক এবং এই নতুন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিটি গাড়ি চালকদের চোখে চোখে রাখার এবং চালকের আচরণ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে।"
ট্রান্সপোর্ট এক্সিডেন্ট কমিশন (টিএসি)-এর বরাতে জানা যায় যে এ বছরের ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৫৩ জন সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন যা গত বছরের তুলনায় ২৭.১ শতাংশ বেশি। ২০১৮ সালে ভিক্টোরিয়ায় ১৯৯ জন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
আরো পড়ুন :