নিউজিল্যান্ডের হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরির আকস্মিক অগ্নুৎপাতের ঘটনায় আটকে পড়াদের কেউ বেঁচে নেই বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আরডার্ন।তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে সন্ধান করেও কোনো প্রাণের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত মোট ৩৪ জনকে হোয়াইট আইল্যান্ড দ্বীপ থেকে জীবিত উদ্ধার করে আনা সম্ভব হয়েছে। এদের মধ্যে ৩১ জনই এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আরডার্ন বলেন, এ পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।আরও ৮ জন দ্বীপে নিখোঁজ রয়েছেন তবে তারাও বেঁচে নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নুৎপাতে হতাহতদের মধ্যে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা রয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আরডার্ন।অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানিয়েছেন মৃত ৫ জনের ৩ জন অস্ট্রেলিয়ান ।তিনি বলেন ২৪ জন অস্ট্রেলিয়ান এ সময়ে সেখানে ছিল ১১ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা এবং তিন জন মারা গেছেন।
নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে হঠাৎ করেই নিউজিল্যান্ডের হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরিতে অগ্নুৎপাত শুরু হয়। মুহূর্তেই ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় আশপাশের এলাকা। বিবিসি জানায়, আকস্মিক অগ্নুৎপাতের কিছুক্ষণ আগেই আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের আশপাশে, এমনকি ভেতরেও অর্ধশতাধিক পর্যটক অবস্থান করছিলেন।হোয়াইট আইল্যাণ্ড নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে জীবন্ত আগ্নেয়গিরিগুলোর একটি।
নিউজিল্যান্ডের মানুষের কাছে এই আগ্নেয়গিরিটি হোয়াকারি নামে পরিচিত।ব্যক্তিমালিকানাধীন এই দ্বীপটি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়।নিউজিল্যান্ডে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন নিহত এবং আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছে।হোয়াইট আইল্যাণ্ডের এই আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগেও এর জ্বালামুখের কাছে কিছু পর্যটক ছিলো ।
নিউজিল্যান্ডের পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থল থেকে ২৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অগ্ন্যুৎপাতের পর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে সেখানে এখন উদ্ধার অভিযান চালানো যাচ্ছে না। উদ্ধার অভিযানে নেমেছে নিউজিল্যান্ডের সেনাবাহিনী। এই মুহূর্তে দ্বীপটিতে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা পুলিশ ও উদ্ধার কর্মীদের জন্যও ভীষণ বিপজ্জনক।’