মেলবোর্নের ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ার ড. নিতু সাঈদ। ২০২০ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় একজন হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। এ সম্পর্কে ড. নিতু এসবিএস বাংলাকে বলেন,
“পুরো অস্ট্রেলিয়া থেকে গবেষকরা বিভিন্ন ক্যাটাগোরিতে তাদের রিসার্চ প্রজেক্ট জমা দেন। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আমিও আমার প্রজেক্ট জমা দেই। আর এর রেজাল্ট প্রকাশিত হয় জুলাই মাসে।”
“আমি যতোটুকু জানি এর আগে কোনো বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ার এ তালিকায় নির্বাচিত হয় নি।”
তার গবেষণার ক্ষেত্র ইলেক্ট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশন্স।
অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১৯ সালে তিনি ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর একই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পোস্ট-ডক্টরাল কাজ শুরু করেন। এছাড়া, এর পাশাপাশি ইউনিভার্সিটি অফ মেলবোর্নে ভিজিটিং রিসার্চার হিসেবেও তিনি কাজ করছেন।“আমি অস্ট্রেলিয়ায় আসি ২০১৬ সালে আরএমআইটি-র ভাইস-চ্যান্সেলর পিএইচডি অ্যাওয়ার্ড স্কলারশিপ নিয়ে।”
অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১৯ সালে ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন ড. নিতু সাঈদ। Source: Dr Nitu Syed
ড. নিতু সাঈদের ২৫ টিরও বেশি গবেষণা-প্রবন্ধ আছে। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বুয়েট) থেকে তিনি ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি করেন ইলেক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে।
“আমার পড়াশোনার ভিত আসলে গড়ে দিয়েছে বাংলাদেশের বুয়েট।”
ন্যানো-ম্যাটেরিয়ালের অতি-সূক্ষ্ম ও পাতলা লেয়ার নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি। এগুলো মানুষের চুলের চেয়ে হাজার গুণ পাতলা। ন্যানো-স্কেল ইলেক্ট্রনিক্সের ক্ষেত্রে তিনি যে কাজ করছেন সেগুলোর সুফল পাওয়া যাবে ভবিষ্যতে। এসবিএস বাংলাকে তিনি বলেন,
“আমরা মোবাইলে যে টাচ-স্ক্রিন ব্যবহার করি সেই ন্যানো ম্যাটেরিয়ালকে পুনঃস্থাপিত করতে পারবে আমাদের উদ্ভাবিত নতুন ন্যানো ম্যাটেরিয়ালগুলো।”
“অন্যান্য ন্যানো-ম্যাটেরিয়াল বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের এনার্জি সেভিংয়েও বড় ভূমিকা রাখবে।”
ড. নিতুর এসব অর্জনের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন তার বাবা-মা এবং স্বামী তানজিব রুবাইয়্যাত। তিনিও বুয়েটে পড়াশোনা করেছেন। তিনি বলেন,
“আমি আমার বাবা-মায়ের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে এ পর্যন্ত আসতে অনেক প্রেরণা যুগিয়েছেন।”