গতকাল সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০-এ প্রকাশিত এই তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ঘোষণা ছাড়া সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ডলার নিয়ে আসা বা নিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল।
বিদেশে পড়াশোনা, চিকিৎসা, ভ্রমণ ইত্যাদি কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশিদের যাতায়াত বাড়ছে, বাংলাদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে তাদের ভ্রমণ সহজ হবে বলে অনেকেই ধারণা করছেন। তবে এই সুবিধার অপব্যবহারের সুযোগ কেউ নিতে পারে এমন ভাবনাও আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এর আগের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশিরা এক বছরে বিশ্বের যে কোনও দেশে ভ্রমণের সময় নগদ ৫ হাজার ডলার ছাড়াও আরও ৭ হাজার ডলার ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে নিতে পারতেন। এজন্য পাসপোর্টে প্রয়োজনীয় ঘোষণা দিতে হতো।
এখন নগদ ডলার বহনের সীমা বাড়ানোর ফলে বিদেশে যাতায়াতকারী বাংলাদেশিদের ডলার বহন সংক্রান্ত ঝক্কি এখন আগের চেয়ে কমলো।
এদিকে গত আগস্ট থেকে বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া নগদ প্রণোদনার কারণে প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক ধারা দেখা দিয়েছে। জানা যায় যে গত জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে প্রবাসীরা ১১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ বাংলাদেশে পাঠিয়েছে যা আগের বছরের একই সময়ে এসেছিল ৯ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে সাত মাসে প্রবাসী আয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৭ শতাংশ।
গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। একজন প্রবাসীর রেমিট্যান্সের ওপর প্রতিবারে সর্বোচ্চ মার্কিন ডলার একহাজার পাঁচশত বা সমমূল্যের অর্থের জন্য কোন কাগজপত্র ছাড়াই প্রণোদনা সুবিধা দিচ্ছে সরকার।
আরো পড়ুন: