Source: Supplied
আলোচনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার স্বাগত বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে যে মুক্তিযোদ্ধারা প্রত্যক্ষ ভূমিকা ও পরোক্ষ অবদান রেখেছেন তাদের আত্মত্যাগ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করা ও নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি বিনম্র চিত্তে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। বঙ্গবন্ধু বাংলার যে স্বাধীকার আন্দোলনকে স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ দিয়ে তা অর্জনে নেতৃত্ব দেন, তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা সেই স্বাধীনতার সম্ভাবনাসমূহ বাস্তবায়িত করছেন। এতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বকীয়তার পাশাপাশি উদীয়মান বাঙালি জাতি বহিঃবিশ্বে স্বীকৃত হচ্ছে। একই সাথে তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যত উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সফল করতে সকল শ্রেণির মানুষ ও গোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত রাখার ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের সচেষ্ট থাকার প্রয়োজনীয়তা বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেন। হাইকমিশনার ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে উইলিয়াম অডারল্যান্ডসহ চার জন অষ্ট্রেলিয়ান নাগরিকের বিশেষ অবদানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।আলোচনা অনুষ্ঠানে চৌধুরী খালিকুজ্জামান মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন যা উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিশেষতঃ নতুন প্রজন্মকে বিশেষভাবে আলোড়িত করে। তিনি স্বাধীনতার সুফল অর্জনে ঐক্যের ডাক দেন।আলোচনা পর্ব শেষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ক্যানবেরাস্থ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও হাইকমিশন পরিবারের সদস্যগণ মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন ও কবিতা আবৃত্তি করেন।
Source: Supplied
মহান বিজয় দিবসের শুরুতে সকাল ৭.০০ টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এই পর্বে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সকালের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।