সিডনিতে বাংলাদেশ কনসুলেট অফিসের কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম এসবিএস বাংলাকে বলেন, মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে মূলত অপটিক্যাল রিডিংয়ের সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন বায়োমেট্রিক তথ্য, যেমন, আঙ্গুলের ছাঁপ, চোখের আইরিশ স্ক্যান মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে (এমআরপি) সংরক্ষণ করে রাখা যায় না।
তিনি বলেন,
“ই-পাসপোর্ট হলে যে-দেশ আমাদের ই-গেইট সেবা আমাদের প্রতি সম্প্রসারণ করবে, সে-সব দেশের এয়ারপোর্টে এবং বাংলাদেশের এয়ারপোর্টের ই-গেইটগুলো সহজে ব্যবহার করতে পারবে ই-পাসপোর্টধারীরা।”
ই-পাসপোর্ট গ্রহণ করা কি বাধ্যতামূলক? যাদের বৈধ মেয়াদের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট আছে তাদেরকেও কি এখনই ই-পাসপোর্ট করতে হবে? নাকি মেয়াদ শেষ হলে করা যাবে? এসব বিষয়ে খন্দকার মাসুদুল আলম বলেন,
“ই-পাসপোর্ট নেওয়ার ক্ষেত্রে এখন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বিদ্যমান পাসপোর্টের (এমআরপি) মেয়াদ শেষ হলেই নিতে পারেন।”
তিনি বলেন, ২২ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলেও বাংলাদেশের সবগুলো পাসপোর্ট অফিসে এই সেবা এখনও চালু হয় নি।
“দেশের বাইরে যারা আছেন তারা আসলে এ মুহূর্তে ই-পাসপোর্ট সেবাটা পাচ্ছেন না,” বলেন তিনি।
Khandker Masudul Alam, Consul General, Consulate General of Bangladesh, Sydney, NSW, Australia. Source: Supplied
সিডনির বাংলাদেশ কনসুলেট অফিসের সেবার আওতা বৃদ্ধি পাচ্ছে
কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম বলেন, আগামী মার্চের ১ তারিখ থেকে কুইন্সল্যান্ডে বসবাসকারীদের জন্য সিডনি অফিস থেকে কনসুলার সেবা প্রদান করা হবে।
তিনি আরও বলেন,
“সময়ে সময়ে তাদের প্রয়োজন-মাফিক আমরা সেখানে ক্যাম্পেরও ব্যবস্থা করবো।”
কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলমের পুরো সাক্ষাৎকারটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।