অস্ট্রেলিয়ায় ফাইভ-জি মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে পারছে না চায়নিজ টেলিকমিউনিকেশন্স জায়ান্ট হুয়াওয়ে। অস্ট্রেলিয়ায় শাসক দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসার পর নতুন ফরেন মিনিস্টার ম্যারিস পেইন এ সম্পর্কে , জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই এ রকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের এমন নিষেধাজ্ঞায় অসন্তুষ্ট হয়েছে চীন ও চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের এই নিষেধাজ্ঞাকে গ্রাহকদের জন্য প্রচণ্ড হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছে হুয়াওয়ে।
এক টুইটার বার্তায় হুয়াওয়ে বলে, ফাইভ-জি’তে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছি আমরা। ১৫ বছর ধরে নিরাপদে অস্ট্রেলিয়াকে ওয়্যারলেস প্রযুক্তি সেবা দিয়ে আসছি।
এই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিতর্ক চলছে। হুয়াওয়ের অস্ট্রেলিয়ান চেয়ারম্যান জন লর্ড বলেন, ফেডারাল সরকারের এই সিদ্ধান্তের পেছনে বিদেশীদের প্রতি অহেতুক ভয় বা ঘৃণার বিষয়টিও ভূমিকা রেখেছে।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সরকার দেশটির টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো প্রযুক্তি যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও জাতীয় নিরাপত্তা বিধিমালা মেনে চলার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশনায় জানানো হয়, যেসব প্রতিষ্ঠান বিদেশি কোনো সরকারের নির্দেশনা মানতে বাধ্য, সেসব প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ার জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি।
হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান এর আগে বলেছিলেন, তার কোম্পানির যন্ত্রপাতি নিরাপদ ও সুরক্ষিত। তার প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ার জন্য কোনো হুমকি নয়। আর, অস্ট্রেলিয়াতে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত যাতে চীন সরকারের হাতে না পড়ে সেজন্য হুয়াওয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। অস্ট্রেলিয়ান গ্রাহকদের তথ্য চীনা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে দেওয়া হবে না।
চীনের আইন অনুযায়ী সে দেশের সরকারি সংস্থাগুলো সেই দেশী কোম্পানিগুলো থেকে নানা প্রকার তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। কিন্তু, এ রকমটি অস্ট্রেলিয়ায় ঘটবে না বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, তার কোম্পানি ১৭০টি দেশে আইন মেনে পরিচালিত হচ্ছে। এর অন্যথা করা হলে তা হবে ‘কর্পোরেট সুইসাইড’।
আগামী কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি দেশ ৫-জি মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করবে। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে এক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য একটি নাম হিসেবে পরিচিত।