স্পনসর প্যারেন্ট (টেম্পোরারি) ভিসার জন্য স্পনসরশিপের আবেদন করা যাবে আগামী ১৭ এপ্রিল থেকে।
ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স-এর একদল কর্মী এই ভিসার আবেদনগুলো নিয়ে কাজ করবে এবং ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময়টিতে আবেদনকারী পরিবারগুলোকে সহায়তা করবে। গত ২৮ মার্চ ইমিগ্রেশন মন্ত্রী ডেভিড কোলম্যান এক প্রেস বিজ্ঞতিতে এ কথা জানান।
প্রতি বছর ১৫ হাজার টেম্পোরারি স্পন্সরড প্যারেন্ট ভিসা প্রদান করা হবে। এই ভিসার মাধ্যমে আবেদনকারী বাবা-মায়েরা একটানা পাঁচ বছর অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করতে পারবেন।
এর পর অল্প সময়ের জন্য অস্ট্রেলিয়া ত্যাগ করে দ্বিতীয় বারের মতো আরও পাঁচ বছরের জন্য এই ভিসার আবেদন করা যাবে। এভাবে প্যারেন্ট এবং গ্রান্ডপ্যারেন্টরা দশ বছর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করতে পারবেন।মিনিস্টার ফর ইমিগ্রেশন, সিটিজেনশিপ অ্যান্ড মাল্টিকালচারাল অ্যাফেয়ার্স ডেভিড কোলম্যান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন,
Minister for Immigration, Citizenship and Multicultural Affairs David Coleman Source: SBS
“কমিউনিটি থেকে এই ভিসার ব্যাপারে অনেক আগ্রহ রয়েছে। আমরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন,
“এই ভিসা চালু করার বিষয়ে সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় আন্তরিক। গত বছর বিরোধী দল লেবারের বিরোধিতা সত্ত্বেও এটি সিনেটে পাশ করা হয়েছে।”
“নতুন এই ভিসার ফলে হাজার হাজার অভিবাসী পরিবারেরর পুনর্মিলন সম্ভবপর হবে। এর ফলে অস্ট্রেলিয়া জুড়ে সর্বত্র পরিবার ও সম্প্রদায়গুলো অনেক বড় সামাজিক সুযোগ-সুবিধা লাভ করবে।”
এই ভিসার আওতায় প্রতি পরিবারে একই সময়ে দু’জন ‘প্যারেন্ট’-কে স্পন্সর করা যাবে। এভাবে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে পরিবারগুলো তাদের ‘প্যারেন্ট’দেরকে স্পন্সর করতে পারবেন।
ভিজিটর ভিসার মাধ্যমে স্বল্প সময়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় আসা যায়। এই ভিসা ভিজিটর ভিসার বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। আর, পার্মানেন্ট প্যারেন্ট ভিসা অনেক সীমিত এবং এটি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়। এই ভিসা পার্মানেন্ট প্যারেন্ট ভিসারও বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। ‘প্যারেন্ট’রা এখনও ভিজিটর ভিসা এবং পার্মানেন্ট প্যারেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।এই ভিসার মাধ্যমে আগত প্যারেন্টদের চিকিৎসা খরচ যোগাতে হবে স্পন্সরকে। হাসপাতাল এবং বয়স্ক সেবা কেন্দ্রের খরচ এর মধ্যে পড়বে। এর মানে হলো এই ভিসার ফলে অস্ট্রেলিয়ান করদাতাদের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে না।
Source: Getty Images
যারা তাদের বাবা-মা কিংবা দাদা-দাদী/নানা-নানী-কে আনতে চান তারা স্পন্সরশিপের আবেদন করতে পারবেন ১৭ এপ্রিল থেকে। এই আবেদন অনুমোদিত হলে মূল ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে ১ জুলাই থেকে।