আপনি যদি ইদানিং কোনো সুপারমার্কেটে যান, তাহলে হয়তো দেখতে পাবেন সেখানে অনেকগুলো তাক খালি রয়েছে, কোনো পণ্য নেই। এর মানে হলো, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য-দ্রব্য বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না।
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের ধাক্কায় কর্মী-সঙ্কট দেখা দেওয়ায় পণ্য সরবরাহ-শৃঙ্খলে এর প্রভাব চোখে পড়ছে বলে মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডেভিড লিয়েনি।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
এই সমস্যা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে আইসোলেশনের নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এসব খাতের মধ্যে রয়েছে, পরিবহন, পণ্য পরিবহন, সার্ভিস স্টেশন, জ্বালানি, পানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, চাইল্ডকেয়ার এবং গণমাধ্যম।
ক্লোজ কন্টাক্ট ব্যক্তিরা তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন, যদি তাদের মাঝে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ দেখা না দেয় এবং যদি তাদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ফল নেগেটিভ হয়।
এদিকে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসার শর্তও শিথিল করা হয়েছে। এখন তারা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে পারবে।
ট্রেজারার জশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোলসের মতো ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে এক্ষেত্রে সমন্বয়-সাধন করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটির সেন্ট্রাল অপারেশন্স অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশনের একজিকিউটিভ জেনারেল ম্যানেজার কেভিন গান বলেন, বিদ্যমান কর্মীরা একইসঙ্গে বহু কাজ করছেন, অনেকেই অতিরিক্ত সময় কাজ করছেন।
এই পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বড় নিয়ামক হচ্ছে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বা র্যাট। তবে, বর্তমানে এর সরবরাহ অনেক কম।
সরকারের তথ্য অনুসারে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মাঝে ১০ মিলিয়ন র্যাট কিট অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছুবে এবং আরও ৮০ মিলিয়ন অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
তবে, লেবার পার্টির ট্রেজারি বিষয়ক মুখপাত্র জিম চ্যালমার্স বলেন, এর মাধ্যমে প্রকৃত সমস্যার সমাধান হবে না।
কনসেশন কার্ডধারীরা বিনামূল্যে ১০টি টেস্ট করানোর সুযোগ পাবেন। কিন্তু, ইউনিয়নগুলো চাচ্ছে সবার জন্য বিনামূল্যে টেস্ট করানোর সুযোগ।
অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিল অফ ট্রেড ইউনিয়নস বা A-C-T-U এর সেক্রেটারি স্যালি ম্যাকমেনাস হুমকি দেন যে, সংক্রমিত থাকা অবস্থায় কর্মীদেরকে যদি জোর করে কাজে যেতে বাধ্য করা হয়, তাহলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাকশন নেওয়া হবে।
পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: