আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ফিজ বাড়াচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

Students at Curtin University, Perth

Students at Curtin University, Perth. Source: AAP

অস্ট্রেলিয়ার বড় বড় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ফিজ বাড়াচ্ছে। তার মানে হলো, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষাদাতাদের সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ।


অস্ট্রেলিয়ায় ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর এই প্রথম ক্যাম্পাসে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা। ফেডারাল হেলথ মিনিস্টার গ্রেগ হান্ট বলেন, ১৫ ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও দক্ষ কর্মীদের জন্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত খুলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

তবে, বর্ধিত ফিজের কারণে স্বস্তি পাচ্ছেন না আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ থেকে অফশোর শিক্ষার্থী হিসেবে মনাশ ইউনিভার্সিটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করেন সাদমান আরাফাত। তিনি বলেন, ফিজ বাড়ানোর বিষয়টি আসলে গালে চপেটাঘাত করার মতো।
কোভিড-১৯ এর কারণে সাদমান আরাফাত এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পা রাখতে পারেন নি। এখন তাকে বলা হচ্ছে, যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তিনি এখনও আসতে পারেন নি, তার জন্য বর্ধিত ফিজ প্রদান করতে।

অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অফ স্টাটিস্টিক্স এর ২০১৯ ও ২০২০ সালের তথ্য-উপাত্ত থেকে দেখা যায়, এই খাতটি ৩৭ বিলিয়ন ডলার অবদান রাখে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে।

তবে, তখন থেকে এই খাতটিতে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর চরম অভিঘাত পড়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বৃহৎ তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, গত বছর ফিজ অপরিবর্তিত ছিল। তবে, ২০২২ সালে ফিজ বাড়ানোর দরকার হবে।

মনাশ ইউনিভার্সিটি ফিজ বাড়াচ্ছে ৬ শতাংশ। তারা বলছে, এটা “বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ”।

ইউনিভার্সিটি অফ সিডনি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের খরচ বাড়াচ্ছে গড়ে ৩.৮ শতাংশ করে। তারা বলছে, “বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক বাজার ও চাহিদার সঙ্গে এটি সঙ্গতিপূর্ণ”।

এদিকে, আন্তর্জাতিক ও এদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফিজ ৩.২ শতাংশ বাড়াচ্ছে ইউনিভার্সিটি অফ মেলবোর্ন। তারা বলছে, “পরিচালনা ব্যয় নির্বাহ করার জন্য রুটিন মাফিক এটি বাড়ানো হচ্ছে”।

মনাশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট মিজ ইশাকা ডি সিলভা বলেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এমনিতেই সংগ্রাম করছে। এখন এর ফলে তাদের ওপর আর্থিক চাপ আরও বাড়বে।

তবে, কেউ কেউ বলছেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত অর্থ প্রদান করছে না।

ইউনিভার্সিটি অফ সিডনির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সালভেতর বাবোনাস বলেন, কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফিজ বাড়ানোর দরকার আছে। দেশী শিক্ষার্থীদের জন্য সরকার যে ভর্তুকি দেয়, তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করার জন্য এটা প্রয়োজনীয়, বলেন তিনি।

কিন্তু, ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন অফ অস্ট্রেলিয়ার সিইও ফিল হানিউড এর সঙ্গে একমত পোষণ করেন নি।

তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় ফিজ আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতাপূর্ণ।

তবে, সাদমান আরাফাত বলেন, ২০২২ সালের জন্য টিউশন ফিজ বাড়ানো হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কোভিড-১৯ বর্ডার পলিসি। ফলে, বিদেশী শিক্ষার্থীরা এখন অন্যদিকে মুখ ফেরাতে বাধ্য হচ্ছে।

Follow SBS Bangla on .


পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 



Share