প্রিমিয়ারের দায়িত্ব থেকে নাটকীয়ভাবে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন গ্লাডিস বেরেজিক্লিয়ান। নিউ সাউথ ওয়েলস লিবারাল পার্টি এতে নাড়া খেলেও তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌঁড়ে তার সহকর্মীদের মাঝে উৎসাহের কমতি দেখা যাচ্ছে না।
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের ৪৬তম প্রিমিয়ার হওয়ার জন্য ইতোমধ্যে সর্বপ্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে সদিচ্ছা প্রকাশ করেছেন প্লানিং মিনিস্টার রব স্টোকস।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন অ্যাগেইনস্ট করাপশন (আই-সি-এ-সি) ঘোষণা করে যে, তারা মিজ গ্লাডিস বেরেজিক্লিয়ানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দেখবে যে, তিনি জনগণের আস্থা ভঙ্গ করেছেন কিনা। এরপরই তিনি প্রিমিয়ারের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
তিনি শুধু প্রিমিয়ারের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন না, তিনি সংসদ-সদস্য পদও ছেড়ে দিচ্ছেন। তার নর্দার্ন সিডনির সাবার্বান সিট উইলোবি-তে পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে, তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পথে এগিয়ে রয়েছেন রাজ্যটির ট্রেজারার ডমিনিক পেরোটে। তবে, দলটিতে তিনি কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত। মধ্যপন্থী লিবারাল সদস্যরা নেতা হিসেবে হয়তো অন্য কোনো বিকল্পের খোঁজ করবেন।
প্রতিযোগী প্রার্থী হিসেবে জব মিনিস্টার স্টুয়ার্ট আয়ারিসের নামও শোনা যাচ্ছে।
বিরোধী দলীয় নেতা ক্রিস মিনস বলেন, নিউ সাউথ ওয়েলস লিবারাল পার্টির উচিত খুব দ্রুতই তাদের নেতৃত্বের বিষয়টির সমাধান করা এবং সরকার পরিচালনায় মনোনিবেশ করা।
নতুন প্রিমিয়ার যিনিই হবেন, তার কর্মসূচির তালিকায় প্রথম দিকেই থাকবে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর বিষয়টি।
নির্বাচিত হলে সরকারের বিদ্যমান স্ট্রাটেজি বা কর্ম-কৌশলে কোনো পরিবর্তন আনবেন না বলে জানিয়েছেন রব স্টোকস।
ক্রিস মিনস মনে করেন না যে, নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটলে লকডাউন থেকে বের হয়ে আসার রোড ম্যাপ বা পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন আনা হবে। তবে, তিনি সতর্ক করেন যে, এই পরিকল্পনায় আমূল পরিবর্তন আনা হলে বিরোধী দল এ নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাবে।
নেতৃত্বের বিষয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন ডমিনিক পেরোটে। লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার দিকে মনোযোগ দিবেন তিনি।
যিনিই দায়িত্ব গ্রহণ করুন না কেন, তার প্রতি প্রত্যাশা থাকবে কোভিড-সংক্রমণ কমিয়ে আনার এবং লকডাউন থেকে রাজ্যটিকে বের করে আনার।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।