সাধারণত ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে। যে-সব কারণে হার্ট অ্যাটাক হয় সেগুলো হঠাৎ করে সৃষ্ট হয় না, সেগুলো অনেক সময় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে জমা হতে থাকে।
৩০ থেকে ৬৫ বছর বয়সী শতকরা প্রায় দশ জন ব্যক্তিকে ডাক্তাররা বলেন যে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি রয়েছে।
হার্ট ফাউন্ডেশনের ডাইরেক্টর অফ সাপোর্ট অ্যান্ড কেয়ার Rachelle Foreman বলেন, হার্ট অ্যাটাক হলে কী করণীয় সে সম্পর্কে জনসংখ্যার অর্ধেকই জানেন না।
বংশ-গতি, জীবনধারণ পদ্ধতি, যেমন, ধূমপান, শরীর চর্চার অভাব এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। Rachelle Foreman নিজেদের পারিবারিক ইতিহাস জানা থাকলে এসব লক্ষণ দ্রুত সনাক্ত করা যাবে।
অস্ট্রেলিয়ার পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত থেকে দেখা যায়, প্রতিদিন প্রায় ২১ জন অস্ট্রেলিয়ান হার্ট অ্যাটাকের কারণে মারা যান। Heart Support Australia এর ক্লিনিক্যাল সায়েন্টিস্ট শওকত খান মানুষকে কার্ডিয়াক সমস্যা সম্পর্কে শিক্ষা দেন এবং সচেতন করেন।
মেয়েরা স্তন ক্যান্সার নিয়ে সচেতন হলেও হার্ট ফাউন্ডেশনের গবেষণায় দেখা গেছে, স্তন ক্যান্সারে যত নারীর মৃত্যু হয় তার প্রায় তিন গুণ নারী মারা যায় হৃদরোগে।
শওকত খান বলেন, হার্ট অ্যাটাকের নিঃশব্দ লক্ষণ, যেমন ফ্যাটিগ বা ক্লান্তিবোধকে পাত্তা দেন না নারীরা।
এই লক্ষণগুলোর স্থায়ীত্ব কয়েক মিনিট থেকে মাসাধিককাল পর্যন্ত হতে পারে। Rachelle Foreman বলেন, এ রকম লক্ষণ দেখতে পেলে ট্রিপল জিরোতে ফোন করুন।
শওকত খান বলেন, যাদের ইতোপূর্বে একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, তাদের আবারও হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
Rachelle Foreman বলেন, হার্ট অ্যাটাক থেকে সেরে ওঠার পর রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতিও নজর রাখতে হবে।
অস্ট্রেলিয়া জুড়ে কার্ডিয়াক রোগে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের জন্য Heart Support Australia বিনামূল্যে Healthy Heart Programs পরিচালনা করে।
শওকত খান মনে করেন রিহ্যাবিলিটেশন বা পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় গ্রুপ এডুকেশন এবং আলোচনা ও পিয়ার সাপোর্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষণায় দেখা যায়, এশিয়ান, মাওরি, আফ্রিকান এবং অ্যাবোরিজিনাল ও টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডার ব্যাক-গ্রাউন্ডের লোকদের বংশগতভাবে বিভিন্ন হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
২০১৭ সালে Australian Institute of Health and Welfare এর একটি গবেষণায় দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ায় ১৩ শতাংশ পুরুষের মৃত্যুর পেছনে বিভিন্ন করোনারি হার্ট ডিজিজ দায়ী। এক্ষেত্রে একই কারণে নারীদের মৃত্যুর হার শতকরা দশ ভাগ।
Rachelle Foreman বলেন, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাসে ইতিবাচক কাজকর্ম করতে হবে।
আরও তথ্যের জন্য হার্ট ফাউন্ডেশন এবং হার্ট সাপোর্ট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইট দেখুন।
টেলিফোনে ভাষাগত সহায়তার জন্য ন্যাশনাল ট্রানস্লেটিং অ্যান্ড ইন্টারপ্রিটিং সার্ভিসে 12 14 50 নম্বরে কল করুন এবং কোন সংগঠনের সঙ্গে কথা বলতে চান তা বলুন।
আপনার বা পরিচিত অন্য কারও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা দিলে ডায়াল করুন 000 নম্বরে।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।