শনিবার সকাল থেকেই ফেডারেশান স্কয়ার চত্বরে তৈরি হচ্ছিল বিভিন্ন ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠানের স্টলগুলো।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা ছিল। এবং সেটি সত্যি করে বেশ কয়েকবার ক্ষণস্থায়ী বৃষ্টিও হয়ে গেছে।
তবে এ সবের কোনও কিছুই দীপাবলীর আয়োজন উপভোগ করতে জড়ো হওয়া মানুষদের ভিড় কমাতে পারেনি।
সেদিনের উৎসবে ফেডারেশান স্কয়ারের মূল মঞ্চে আয়োজিত হয়েছে নানা রকম অনুষ্ঠান। ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রচলিত নাচ, গান ও বাজনার আয়োজন ছিল সেখানে।
সেই সাথে উপস্থাপকদের সাবলীল ঘোষণায় চলছিল শিশু ও বড়দের অংশগ্রহণে নানা ক্যুইজের আয়োজন।
অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে স্টল সাজিয়ে অংশ নেয়া বিভিন্ন ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠানের কর্নধারদের এবং এবারের দীপাবলী উৎসবের নানা স্পন্সরদের মঞ্চে আমন্ত্রণ জানিয়ে পরিচয় করে দেয়া হয় উপস্থিত দর্শকদের সাথে।
ফেডারেশন স্কয়ারে দাঁড়ানো বেশ কয়েকজন দর্শকের সঙ্গে কথা হল এসবিএস বাংলার।
এরকমই একজন ভারতের সুমিত যোশী।
দীপাবলি উৎসবে এসে আনন্দিত সুমিত যোশী। Credit: SBS Bangla
টাসমানিয়া থেকে গত জুলাই মাসে সপরিবারে ভিক্টোরিয়ায় পাকাপাকিভাবে চলে এসেছেন সুমিত যোশী।
তিনি ও তাঁর স্ত্রী বললেন, দীপাবলির অনুষ্ঠান দারুণ ভাল লাগছে তাঁদের পরিবারের সকলের। বিভিন্ন স্টলের খাবার দাবারের পাশাপাশি, এসবিএস এর আয়োজনে ফ্রি প্রিন্টেড ছবি পেয়েও আনন্দিত তাঁরা।
কয়েক মিটার উঁচু পোলের উপরে নৃত্যরত শিল্পীরা। Credit: SBS Bangla
সেই ভিড়ের মধ্যে থেকে কথা হলো ভারতের উত্তরাখন্ডের মানুষ সন্দীপ হাজওয়ান ও শিল্পা-র সঙ্গে।
সন্দীপ ও শিল্পার মনে হয়েছে, এ বারের দীপাবলী অনেক বেশি প্রতিনিধিত্বমূলক হয়েছে। Credit: SBS Bangla
একই মতামত জানালেন তাঁর সঙ্গে উৎসবে আসা শিল্পা-ও। তিনি বলেন, এমনিতে দীপাবলী মানেই তো রঙের উৎসব, কিন্তু এ বছর বিভিন্ন প্রদেশ ও অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব এই উৎসবে ভিন্ন মাত্রা এনে দিয়েছে।
এবং আয়োজনের মূল মঞ্চে নানা ভাষার গান বেজে উঠছিল যখন, সেখানে নাচের সঙ্গে হঠাৎ করে সম্প্রতি আবার জনপ্রিয় হওয়া একটি বাংলা গান ‘শোনো গো দখিন হাওয়া’ বেজে উঠলে, সন্দীপ ও শিল্পার কথাটিকে সঠিক বলে মনে হয়।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: