সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব-উপকূলে ভয়ানক বন্যা দেখা দিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে সমস্ত ব্যাংক এবং ইনস্যুরার বা বিমাকারকদেরকে সহায়-সম্পত্তির ক্ষেত্রে চরম আবহাওয়া ঝুঁকির বিষয়ে আরও স্বচ্ছত প্রদর্শন করা প্রয়োজন।
ধারণা করা হচ্ছে যে, কোনো কোনো এলাকায় ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম বা বিমার কিস্তি দ্বিগুণ করা হতে পারে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ভাড়াটিয়া লিসার মতো কেউ কেউ বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন, যাদের কোনো কন্টেন্টস ইনস্যুরেন্স নেই।
তবে, এই খরচের চাপ শুধুমাত্র ভাড়াটিয়াদের সমস্যা নয়, বাড়িওয়ালারাও এ নিয়ে সমস্যায় আছেন।
পোর্ট ম্যাকোয়েরির নিকটবর্তী ওয়াও-হোপ-এ একটি ক্যাফে চালান মিজ ফেলিসিটি ক্রুকার। বন্যায় তার ক্যাফে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণেও তার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মিজ ক্রুকার বলেন, তিনি যখন ইনস্যুরেন্স ক্লেইম করেন, তখন সেটি প্রত্যাখ্যান করা হয়। কারণ, বিমাকারক তাদের নীতিমালায় পরিবর্তন করছিলেন।
জলবায়ু ঝুঁকি বিষয়ক একজন বিশ্লেষক বলেন, প্রতি ২০ টি সম্পত্তির মধ্যে একটিরও কম ক্ষেত্রে প্রবল বন্যা-কবলিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
বিশ্লেষক কার্ল ম্যালন বলেন, যে এলাকায় বন্যার অনেক ঝুঁকি রয়েছে সে রকম এলাকায় ৫০০,০০০ ডলারের সম্পত্তিও তিনি দেখেছেন, যেগুলোর জন্য বড় অঙ্কের প্রিমিয়াম দিতে হতে পারে।
কিন্তু, ইনস্যুরেন্স কাউন্সিলের অ্যান্ড্রু হল বলেন, সেটা একটি বিরল পরিস্থিতি।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া চরম প্রতিকূল হতে পারে। ফলে প্রিমিয়ামের অঙ্কও সে অনুসারে বাড়বে।
ইনস্যুরেন্স কাউন্সিলের অ্যান্ড্রু হল বলেন, সামর্থ্য থাকার বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কার্ল ম্যালন বলেন, জনগণকে এ বিষয়ে ভালভাবে অবহিত করতে হবে।
এদিকে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে অস্ট্রেলিয়ার বড় চারটি ব্যাংক।
বন্যা-দুর্গত এলাকার গ্রাহক ও ব্যবসাগুলোকে অনুদান প্রদান করার জন্য ওয়েস্টপ্যাক ১০ মিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল চালু করেছে।
CBA, NAB এবং ANZ ব্যাংকও আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।