মায়ার ১৮ বছরের বিবাহিত-জীবনে আট-দশটা সাধারণ অনুষঙ্গের মতোই ছিল ডমেস্টিক ভায়োলেন্স।
অভিবাসী এবং শরণার্থী নারীরা অস্ট্রেলিয়ায় কী অবস্থায় আছেন, তার চিত্র উঠে এসেছে একটি জাতীয় সমীক্ষায়। মায়া তাদেরই একটি উদাহরণ।
প্রায় ১৪০০ লোকের মাঝে পরিচালিত সেই সমীক্ষাটিতে দেখা যায়, তাদের ৩৩ শতাংশের অভিজ্ঞতা রয়েছে কোনো না কোনোভাবে ডমেস্টিক এবং ফ্যামিলি ভায়োলেন্সের শিকার হওয়ার। এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণ, দৈহিক কিংবা যৌন নিপীড়নের ঘটনাই বেশি দেখা যায়।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
মনাশ ইউনিভার্সিটি ও হারমনি অ্যালায়েন্সের এই রিপোর্টটি সম্পর্কে হারমনি অ্যালায়েন্সের চেয়ার নেইডল নইউন বলেন, নীতিমালা ও প্রায়োগিক ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার জন্য নিরেট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্য আমরা এই সমীক্ষা চালিয়েছি।
গবেষকরা বলেন, সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অনেকেই জানিয়েছেন যে, তাদেরকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তাদের মাইগ্রেশন স্ট্যাটাসকে কাজে লাগানো হতো।
মিজ নইউন বলেন, সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, অস্থায়ী ভিসাধারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ৪০ শতাংশ বলেন, তাদের ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের হার ৩২ শতাংশ এবং পার্মানেন্ট ভিসাধারীদের হার ২৮ শতাংশ।
সমীক্ষাটির লিড অথর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর মেরি সেগ্রেভ বলেন, অংশগ্রহণকারীদের মাত্র ২২ শতাংশ তাদের ভিসা অধিকারগুলো নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।
পুলিশের প্রতি আস্থাহীনতার কথাও উঠে এসেছে এই রিপোর্টটিতে, বিশেষত, ৩০ বছরের কম-বয়সী নারীদের কাছ থেকে।
মায়া বলেন, সাংস্কৃতিক প্রতিবন্ধকতার কারণে, তিনিও এ রকম অনুভব করেন।
জুলাই মাসের শেষের দিকে দু’দিন ব্যাপী ন্যাশনাল উইমেন্স সেফটি সামিট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল; তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে তা বাতিল করা হয়েছে।
গত বাজেটে সরকার আড়াই মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের শিকার হওয়া অস্থায়ী ভিসাধারীদের জন্য।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।