ছয় বছর স্বামীর নির্যাতন সহ্য করার পর অবশেষে ঘর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন টায়লি স্টার।
আর্থিকভাবে তিনি সংগ্রাম করেছেন। বেশ কয়েক বছর গৃহহীন অবস্থায় থাকার পর তিনি একটি নারী নিরাপত্তা পরিষেবা কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তারা তার জীবন রক্ষা করেছে বলে তিনি জানান।
কিন্তু, এই ধরনের পরিষেবা কেন্দ্রগুলো এখন জানাচ্ছে, তারা এখন অর্থায়ন হ্রাস হওয়ার আশঙ্কায় আছে এবং এর ফলে তাদের কর্মী সংখ্যা কমাতে হতে পারে।
১৫ টি পারিবারিক সহিংসতা গোষ্ঠী ফেডারাল সরকারের প্রতি একটি খোলা চিঠি লিখেছে। তারা আহ্বান জানিয়েছে, কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর সময়টিতে আবারও ১৫০ মিলিয়ন ডলারের একটি ফেডারাল অর্থায়ন করা হোক।
ডমেস্টিক ভায়োলেন্স নিউ সাউথ ওয়েলস-এর সিইও ডিলিয়া ডানাভান বলেন, রেকর্ড অনুসারে এ বছর অনেক বেশি নারী নির্যাতন সংঘটিত হয়েছে।
জাতীয় পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রতি সপ্তাহে গড়ে একজন নারী তার বর্তমান কিংবা সাবেক সঙ্গীর দ্বারা খুন হন।
এক চতুর্থাংশ অস্ট্রেলিয়ান নারীর অভিজ্ঞতা রয়েছে সঙ্গীর দ্বারা শারীরিক কিংবা যৌন সহিংসতার শিকার হওয়ার। আর, প্রতিদিন প্রায় ১০ জন নারী তাদের পরিবারে সঙ্গীর দ্বারা আঘাত-প্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে যান।
উইমেনস’ সেইফটি মিনিস্টার অ্যান রাস্টন বলেন, এসব প্রতিরোধে একটি নতুন জাতীয় পরিকল্পনার প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এ দেশের প্রথম ডমেস্টিক ভায়োলেন্স ন্যাশনাল প্লান প্রতিস্থাপনের জন্য পরামর্শ-পর্ব এখন শুরু হয়েছে।
নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা হ্রাসে ন্যাশনাল অ্যাকশন প্লান ২০২২ সাল নাগাদ শুরু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু, ডমেস্টিক ভায়োলেন্স সার্ভিসগুলো বলছে, তারা এতদিন অপেক্ষা করতে পারবে না।
ডিলিয়া ডানাভান বলেন, বহু পরিষেবা-কেন্দ্র এখন ব্রেকিং পয়েন্টে চলে গেছে এবং তাদের জন্য জরুরি সহায়তা করা দরকার।
ফেডারাল ট্রেজারার জশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, মে মাসে বাজেটে এই খাতে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হবে।
জাতীয় পর্যায়ে নারীদের নিয়ে একটি শীর্ষ বৈঠকের অনুরোধ করেছেন কুইন্সল্যান্ডের প্রিমিয়ার অ্যানেস্টেশিয়া প্যালাশে।
তিনি বলেন, যে-সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন, সেগুলোর মধ্যে নারীর প্রতি সহিংসা একটি মাত্র দিক।
যৌন নিপীড়ন কিংবা পারিবারিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিরা ২৪ ঘণ্টা সহায়তা পেতে কল করুন 1-800 RESPECT-এ 1800 737 732 নম্বরে।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।