১৪ বছর বয়সে লিভ ইভান্স তার প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট খোলে। তবে, ১৬ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তার জীবন শেষ হয়ে যায়।
লিভের বাবা রব ইভান্স । তিনি এবং আরও অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য বয়সসীমা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন। এখন সরকার ১৬ বছরের নিচের শিশুদের জন্য এই প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা করছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজি বলেছেন, দেশব্যাপী পরিবারগুলো সামাজিক মিডিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন।
এই বছর পার্লামেন্টে একটি নতুন আইন উত্থাপন করা হবে, যার মাধ্যমে সামাজিক মাধ্যমের কিছু ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে। আইনটি পাশ হওয়ার এক বছর পর তা কার্যকর হবে এবং পুরনো ও নতুন সব ব্যবহারকারীর জন্য প্রযোজ্য হবে। ই-সেফটি কমিশনারের কার্যালয় এ নিষেধাজ্ঞা তদারকি ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবে এবং কীভাবে এটি কার্যকর হবে, তা নির্ধারণ করবে। কমিশনার নির্ধারণ করবেন কোন প্ল্যাটফর্ম বা কার্যক্রম কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত থাকতে পারে। প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের দায়িত্ব থাকবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর।
আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন সায়েন্সের অধ্যাপক লিসা ম্যাকগিভার্ন বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা কীভাবে কাজ করবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কিন্তু তিনি সতর্ক করেন যে সমস্যাটি এড়ানোর জন্য কিছু বিকল্প উপায়ও থাকতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে, কোনো ব্যবস্থাই পুরোপুরি নিখুঁত নয়।
বিরোধী দলের যোগাযোগ বিষয়ক মুখপাত্র ডেভিড কোলম্যান এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন।
মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব এডুকেশন, কালচার অ্যান্ড সোসাইটির ড. স্টেফানি ওয়েসকট সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি ঘটতে পারে।
এই প্রতিবেদনটি যদি আপনার বা আপনার পরিচিত কারোর জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে থাকে, তাহলে আপনি 1800 33 46 73 নম্বরে দ্য বাটারফ্লাই ফাউন্ডেশনে বা 13 11 14 নম্বরে লাইফলাইন থেকে সাহায্য নিতে পারেন।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।
পাওয়া যাচ্ছে?
এসবিএস বাংলা এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সকল জনগোষ্ঠীর জন্য এসবিএস সাউথ এশিয়ান চ্যানেলের অংশ।
এসবিএস বাংলা লাইভ শুনুন প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় এসবিএস সাউথ এশিয়ান-এ, ডিজিটাল রেডিওতে, কিংবা, আপনার টেলিভিশনের ৩০৫ নম্বর চ্যানেলে। এছাড়া, এসবিএস অডিও অ্যাপ-এ কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটে। ভিজিট করুন
আর, এসবিএস বাংলার এবং ইউটিউবেও পাবেন। ইউটিউবে সাবসক্রাইব করুন চ্যানেল। উপভোগ করুন দক্ষিণ এশীয় ১০টি ভাষায় নানা অনুষ্ঠান। আরও রয়েছে ইংরেজি ভাষায় ।