আগামী ১ নভেম্বর থেকে পুরোপুরি কোভিড-১৯ টিকা নেওয়া আন্তর্জাতিক যাত্রীরা নিউ সাউথ ওয়েলসে আসতে পারবেন।
প্রিমিয়ার ডমিনিক পেরোটে বলেন, ফেরত আসা অস্ট্রেলিয়ান এবং পর্যটকদেরকে এই অঙ্গ-রাজ্যে আসার পর আইসোলেশন বা নির্জনবাসে যেতে হবে না, যদি তাদের পুরোপুরি টিকা নেওয়া থাকে এবং যাত্রা শুরু করার সময়ে ও পৌঁছানোর পর কোভিড টেস্টের ফল যদি নেগেটিভ হয়।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
তবে, যারা টিকা নেন নি তাদেরকে হোটেল কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে। প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২১০ জন এই সুযোগ পাবেন।
পর্যটকদের অস্ট্রেলিয়ায় আসতে দেওয়ার বিষয়ে প্রিমিয়ারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সময় লাগবে।
আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তিনি নিজেই সম্প্রতি দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন শেষ করলেন। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের ক্ষেত্রে তিনি ফেরত আসা অস্ট্রেলিয়ান ও তাদের বাবা-মায়েদেরকে অগ্রাধিকার দিতে চান।
এর পর সুযোগ পাবে দক্ষ কর্মীরা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, বলেন তিনি।
এত বড় এই উদ্যোগের সঙ্গে একমত হন নি অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় ডাক্তাররা।
যারা টিকা নেন নি তাদের জন্য উদ্বিগ্ন অস্ট্রেলিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের ডাক্তার মাইকেল বনিং।
অন্য অঙ্গ-রাজ্যগুলো নিউ সাউথ ওয়েলসের এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়েছে। বিশেষত, ভিক্টোরিয়া। সেখানকার হেলথ মিনিস্টার মার্টিন ফোলি ঘোষণা করেছেন, নিউ সাউথ ওয়েলসের সঙ্গে সীমান্ত উন্মুক্ত করার।
মঙ্গলবার রাত ১১:৫৯ থেকে পুরোপুরি টিকা নেওয়া লোকেরা কোনো একটি রেড জোন থেকে, যেমন, সিডনি থেকে, ভিক্টোরিয়ায় বিনা বাধায় প্রবেশ করতে পারবে।
তবে, তাদেরকে দু’বার কোভিড-টেস্ট করতে হবে; পৌঁছানোর আগে একবার ও পৌঁছানোর পরে আরেকবার।
ডেকিন ইউনিভার্সিটির একজন এপিডেমিওলজিস্ট প্রফেসর ক্যাথেরিন বেনেট বলেন, কোভিড টেস্টের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু, নিউ সাউথ ওয়েলসের আন্তর্জাতিক সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে আন্তঃরাজ্য সীমান্তগুলো হয়তো আরও দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকবে।
কুইন্সল্যান্ডে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের প্রকোপ অনেক কম। তবে, তারা সীমান্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আগ্রহী নয়। অঙ্গ-রাজ্যটির হেলথ মিনিস্টার বলেন, নিউ সাউথ ওয়েলসের ঘোষণার ফলে কুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দাদের জন্য টিকা গ্রহণ করাটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
নিউ সাউথ ওয়েলস সীমান্ত খুলে দেওয়ার ঘোষণা করা হয় যে সংবাদ সম্মেলনে, সেখানে প্রিমিয়ার ডমিনিক পেরোটে রিজিওনাল ভ্রমণ ফিরিয়ে আনার বিষয়টি স্থগিত করেন।
ডেপুটি প্রিমিয়ার পল টুল বলেন, তিনি বোঝেন যে, এই সিদ্ধান্তটি জনপ্রিয় হবে না, তবে রিজিওনগুলোতে টিকা প্রদানের হার কম হওয়ায় এর দরকার ছিল।
নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে সিডনির বাসিন্দারা রিজিওনাল নিউ সাউথ ওয়েলসে ভ্রমণ করতে পারবেন।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।