কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর আগে পাসপোর্টের জন্য দৈনিক ৭,০০০ থেকে ৯,০০০ আবেদন জমা পড়তো। আর, গত সপ্তাহে দেখা গেছে, এক দিনেই আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ১৬,৫০০ টি আবেদন। পাসপোর্ট তৈরিতে বিলম্ব নিয়ে একটি প্রতিবেদন।
আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলো খুলে দেওয়া হলেও পাসপোর্ট না থাকায় হাজার হাজার অস্ট্রেলিয়ান এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভ্রমণ করতে পারছে না।
অস্ট্রেলিয়া জুড়ে পাসপোর্ট অফিসগুলোতে লম্বা লাইনে অপেক্ষায় থাকার কারণে তাদের অনেকেই এখন হতাশ।
পাসপোর্টের জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষায় থাকা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে এসবিএস।
ছয় বছর বয়সী ছেলের জন্য মে মাসের শুরুর দিকে পাসপোর্টের আবেদন করেন শ্রীনিত কালাঙ্গারাত। এ বছরের শেষ নাগাদ হলিডেতে যেতে চান তারা।
কিন্তু, জুনের ১ তারিখে ভারতে হঠাৎ করেই মারা যান তার শ্বশুর। তাকে শেষ দেখার সুযোগ মেলেনি কালাঙ্গারাত ও তার স্ত্রীর।
অ্যাসিস্ট্যান্ট মিনিস্টার ফর ফরেইন অ্যাফেয়ার্স টিম ওয়াটস বলেন, পাসপোর্ট-আবেদনগুলো নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আজকাল যে বিলম্ব হচ্ছে এবং পাসপোর্ট অফিসের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও যে দীর্ঘসময় ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে, এগুলো গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি আরও বলেন, দ্রুত পরিস্থিতির উন্নয়নে ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেইন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড-এর সঙ্গে একযোগে কাজ করছে সরকার। সেজন্য প্রসেসিং ও কলসেন্টার কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
মিস্টার ওয়াট আরও বলেন, “এই সমস্যাটি সম্পর্কে আগেই ধারণা করা সম্ভবপর ছিল। আর, সীমান্তগুলো উন্মুক্ত করা হলে পাসপোর্ট-আবেদনের সংখ্যা যে অধিক হারে বৃদ্ধি পাবে, সেটা সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বিগত সরকারের যথার্থ পরিকল্পনার অভাবই এর জন্য দায়ী।”
বিরোধী দলের ফরেইন অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মুখপাত্র সায়মন বার্মিংহ্যাম সিডনি রেডিওকে বলেন, সিস্টেমের কোনো কোনো অংশে অতিরিক্ত রিসোর্স বা জনবল নিয়োজিত করা হয়েছিল।
পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত।
আরও দেখুন: