আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এরইমধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচনী আমেজে দিনভর সরগরম রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান কার্যালয়। চলছে প্রার্থী মনোনয়ন এবং নির্বাচনী প্রচারণার কাজ। অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ করছে রাজনৈতিক দলগুলো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র নির্বাচনী হালচাল জানতে, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে কথা বলেছে এসবিএস বাংলা।
আপনাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি চলছে কেমন?
মির্জা ফখরুল: ভালো প্রস্তুতি চলছে। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা কাজ করছি।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে! যার ফলে স্কাইপ ব্যবহার করতে পারছেন না আপনারা। এ অভিযোগ কতটা সত্য?
মির্জা ফখরুল: শতকরা একশ ভাগ সত্য। এতে যোগাযোগে সমস্যা হচ্ছে আমাদের। নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা, বিভিন্ন জেলায় যোগাযোগ করা... বুঝতেই পারছেন, ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিলে কি অবস্থা হয়। আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি।
প্রার্থী নির্বাচনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তই কি চূড়ান্ত? নাকি দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির মতামতকেও প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে?
মির্জা ফখরুল: উনিতো দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন এবং একইভাবে পার্লামেন্টারি (সংসদীয়) বোর্ডেরও প্রধান। আমাদের যে পার্লামেন্টারি বোর্ড আছে, তারাই চূড়ান্ত করেন মনোনয়ন, তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে কখন সিদ্ধান্ত নেন? সংলাপের পরপর নাকি আগে থেকেই দলীয় সিদ্ধান্ত ছিল?
মির্জা ফখরুল: না না, সংলাপেতো কিচ্ছু হয় নাই। দলের সিদ্ধান্ত হচ্ছে যে, আমরা নির্বাচনে যাব এবং সেটা তৃণমূল পর্যায় থেকে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বেগম খালেদা জিয়ার সাথে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। Source: AP
সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিতে, সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের নেয়া পদক্ষেপে আপনার কতটা সন্তুষ্ট বা আশাবাদী?
মির্জা ফখরুল: কোন পদক্ষেপই নেননি তারা। সন্তুষ্ট হওয়ার কোন কারণই নাই। তারা এখনও আমাদের নেতাকর্মীদের এবং পুরোনো প্রার্থীদের গ্রেফতার করছে।
কারাবন্দী দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী আপনারা?
মির্জা ফখরুল: বর্তমানে বাংলাদেশে যে নিয়ম- কানুন আছে, সে অনুযায়ী নির্বাচনে যাওয়ার সমস্ত যোগ্যতা তার আছে।
এবার জানতে চাব ঐক্যফ্রন্টের ব্যাপারে। নির্বাচনে জয়ী হলে কে হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী? এ নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়েছি কিনা?
মির্জা ফখরুল: সংসদে যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে তারাই প্রধানমন্ত্রী ঠিক করবে। তবে, এই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে নির্বাচনের পর।
যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে নির্বাচনে ভারতের সহায়তা চাওয়া হয়েছে, এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি?
মির্জা ফখরুল: তারা তাদের স্বরূপ প্রকাশ করেছেন। সহায়তা চেয়ে নির্বাচন করছেন। দিস ইজ নট ওয়ান্টেড যে, অন্য কোন দেশ আমাদের ব্যাপারগুলোতে হস্তক্ষেপ করবে।