এ পর্যন্ত ৭০ দিনেরও বেশি হলো ক্যাপাটি আর-এফ-এস ব্রিগেডের ফায়ারফাইটাররা ছোট্ট সেই গ্রামটিতে তীব্র আগুন নেভাতে কাজ করছেন। গ্রামটিতে মাত্র ১৫০ জন অধিবাসী রয়েছেন।
গত অক্টোবরে যখন আগুন লাগলো তখন থেকে তেমন কোনো ছুটি না নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন ব্রিগেডটির ক্যাপ্টেন স্টিভ ডালি।
ক্যাপাটি উপত্যকায় এই শহরটি অবস্থিত। পৃথিবীর সবচেয়ে চওড়া গিরিখাত এটি।
অগ্নিকাণ্ডের ফলে এই প্রাকৃতিক বিস্ময়টি এখন হুমকির মুখে।
বৃষ্টি ও শীতল আবহাওয়ার কারণে এ সপ্তাহে খানিকটা স্বস্তি মিলেছিল এই ফায়ারফাইটারদের।
ফায়ারফাইটার ওয়ালি বডনার বলেন, দীর্ঘ দিন অগ্নিকুণ্ডের সামনে কাটানোর পর যেন সুন্দর সমীরণ বয়ে গেল।
আবারও যদি আগুন লেগে যায়, সেজন্য তারা সবসময়েই ‘স্ট্যান্ডবাই’ অবস্থানে রয়েছেন। একটি শান্ত দিনও হঠাৎ করে অশান্ত হয়ে উঠতে পারে।
এই বুশফায়ারের ভয়ানক সিজনে ক্যাপ্টেন ডালি বলেন, তারা সবসময়েই সতর্ক রয়েছেন।
অবিরাম আগুন জ্বলতে থাকায় ফায়ারফাইটাররা তাদের পরিবারের সাথে ক্রিসমাস এবং নিউ ইয়ার্স ইভও পালন করতে পারেন নি।
সেদিন শনিবার ছিল লেসলি মিসিংহ্যাম-এর জন্মদিন। সেদিনও তিনি গসপার মাউন্টেইনে বড় একটি আগুন নেভাতে কাজ করেছেন।
ক্যাপাটির মতো লোকাল স্টেশনগুলো হয়তো ছোট, কিন্তু তাদের কাজ অনেক গুরুত্ব রাখে।
ক্যাপ্টেন ডালি বলেন, গত সপ্তাহে ব্যাকবার্নিং করা হয়। শনিবারে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কোঠায় যখন উঠে যায় তখন গসপার মাউন্টেনের অতি বড় আগুনের বিস্তৃতি বন্ধ করার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
তাদের পানির সঞ্চয় প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছিল। পানির বড় ট্রাক না থাকায় তাদেরকে ট্যাংকার নিয়ে বার বার পানি আনতে যেতে হচ্ছিল।
তিনি বলেন, ফায়ার সিজন মাত্র অর্ধেক পার হয়েছে। এ ধরনের সরঞ্জামের খুবই প্রয়োজন রয়েছে।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।