সাউথ অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিমে আদিবাসী অধ্যুষিত প্রত্যন্ত অঞ্চল আনাঙ্গু পিটজানটজাটজারা ইয়ানকুনিৎজাতজারা (এপিওয়াই)-তে ব্যাপকভাবে বন্য উট হত্যা করা শুরু হয়েছে বুধবার, ৮ জানুয়ারি থেকে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাঁচ দিন ধরে চলবে এই হত্যা অভিযান। হেলিকপ্টার থেকে এগুলোকে গুলি করে মারার জন্য পেশাদার শুটারও নিয়োগ করা হয়েছে। এসব মার্কসম্যানকে অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার থেকে আনা হয়েছে।
মৃত উটের দেহগুলো শুকিয়ে যাওয়ার পর আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে পোড়ানো হবে।
খরা কবলিত এই অঞ্চলে পানির জন্য বিভিন্ন স্থানে হানা দিচ্ছে সেখানকার বন্য উটগুলো। উটের শরীর থেকে নির্গত মিথেন গ্যাসের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়। অঞ্চলটিতে বন্য উটের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেছে।
“উটগুলো পানির খোঁজ করে। তাই এপিআই ল্যান্ডসে আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোর উপর অনেক বেশি চাপ রয়েছে।”
“চলমান খরা পরিস্থিতিতে বহুল সংখ্যক উটের উপস্থিতিতে এপিওয়াই অঞ্চলে বসবাসরত সম্প্রদায়গুলোর অবকাঠামোগুলো ঝুঁকির মুখে পড়েছে।”এপিওয়াই এর একজিকিউটিভ বোর্ড মেম্বার মারিটা বাকের বলেন,
Up to 10,000 feral camels are to be culled in South Australia this week. Source: Pexels
“আমরা প্রচণ্ড গরমে ও দুর্গন্ধময় অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে আটকে আছি এবং অসুস্থ্য বোধ করছি। উটগুলো পানির খোঁজে দল বেঁধে আসছে এবং বেড়া ভেঙ্গে ঘর-বাড়িতে ঢুকছে এবং এমনকি এয়ার কন্ডিশনারগুলো থেকেও পানি সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে।”
অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমে উট আনা হয় ১৮৪০-এর দশকে। ধারণা করা হয় যে, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় সবচেয়ে বেশি বন্য উট আছে।