"আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর পরিসরে পারস্পরিক সহযোগিতা ও যোগাযোগ বাড়াতে হবে"

Photo with alumni at UNE

ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইংল্যান্ডের বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সাথে নিপা চাকি Source: Nipa Chaki

রেজিওনাল শহর আরমিডেলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইংল্যান্ডে পিএইচডি গবেষণা করছেন নিপা চাকী। এসবিএস বাংলার সাথে এক আলাপচারিতায় তিনি সেখানে শিক্ষা, গবেষণা ও বসবাসের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন।


ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইংল্যান্ড (UNE) অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় যা বিশ্বমানের শিক্ষা ও গবেষণায় অন্যতম অগ্রগণ্য। নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের হান্টার-নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলে অবস্থিত অনিন্দ্য সুন্দর পর্যটন শহর আরমিডেলে তার অবস্থান। শহরটি সিডনী থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার উত্তরে এবং ব্রিসবেন থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। 

রেজিওনাল শহর আর বড় শহরে বসবাস করার অভিজ্ঞতা কিছুটা ভিন্ন বলে জানিয়েছেন নিপা চাকী। তিনি UNE তে ফ্রেশওয়াটার ইকোলজি বিষয়ে পিএইচডি করছেন। কুইন্সল্যান্ড ও নিউসাউথ ওয়েলসের বর্ডার রিভার— “ম্যাকেন্টায়ার রিভার’ ইকোলজি  তার গবেষণার বিষয়।
নিপা চাকী
ফ্রেশওয়াটার ইকোলজি নিয়ে পিএইচডি করছেন নিপা চাকী Source: Nipa Chaki
তিনি বলেন, 

"আমার মনে হয় অস্ট্রেলিয়ার রেজিওনাল  শহরে পড়ার সাথে বড় শহরে পড়ার বেশ পার্থক্য আছে। এখানে কমিউনিটি ছোট, তাই সবার সাথে সবার পরিচয় এবং আন্তরিকতা ভালো। এখানে ট্রাভেল টাইম টা খুব কম, তাই আমরা ফ্যামেলি টাইমটা বেশি পাই। বাড়ী ভাড়া সহ জীবন যাপনের খরচ বড় শহরের তুলনায় কম, শিক্ষার্থীদের জন্য যা খুবই উপকারী"

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করার পর ইউএনই'র পিএইচডি স্কলারশিপ পেয়ে তিনি আরমিডেলে চলে আসেন। তবে এই দীর্ঘ যাত্রাটি সহজ নয় বলে তিনি জানান। ইংরেজীতে স্কোর করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্ত পূরণ করা, সুপারভাইজারের সাথে যোগাযোগ করা— সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে প্রায় দুই বছর সময় লেগেছে তার। 

শতাধিক বাংলাদেশী নিয়ে আরমিডেলে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটি গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের পরিবার আছে ৩০টির বেশি। আরমিডেলের এক টুকরো বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, ঈদ, পুজা-পার্বণ পালিত হয়।
UNE Bangladeshi Students' Association
UNE Bangladeshi Students' Association Source: Nipa Chaki
রেজিওনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়ার ফলে কিছু সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হতে হয় বলে তিনি জানিয়েছেন। সেখানে কাজের সুযোগ কম থাকায় পড়ালেখার পাশাপাশি উপার্জনের পরিধি খুবই সীমিত। যদিও জীবন যাপন খরচ কম, তাই স্কলারশিপ থাকলে তেমন সমস্যা হয় না। 

তবে গবেষণা ও পেশাদারী নেটওয়ার্কের পরিধি আরও বড় হলে রেজিওনাল শিক্ষার্থীদের ভাল হয় বলে তিনি মতামত দেন। তিনি বলেন, 
যদি রেজিওনাল ও বড় শহরের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কমিউনিকেশনের কোন কমন প্লাটফরমের ব্যবস্থা থাকতো তাহলে পুরো অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশী স্টুদেন্টদের একটা নেটওয়াক গড়ে উঠতো; যেটা ভবিষ্যতে গবেষণা বা নিজের প্রফেশনে কাজ খুঁজতে বা আরও বৃহত্তর কর্মক্ষেত্রে নিজের দক্ষতা-যোগ্যতা কাজে লাগাতে সাহায্যে আসতো।
নিপা চাকীর সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .

Share