উল্লেখযোগ্য দিকগুলো
- যে-কোনো নতুন প্রযুক্তির ভাল-মন্দ দুটো দিকই আছে।
- কম-বয়সীদের পুরো জীবনের অনেকটাই ফোনের ওপরে।
- সোশাল মিডিয়া নেতিবাচক তুলনা বাড়ায়। অন্যদের কী হচ্ছে, কে কেমন জীবন কাটাচ্ছে, ইত্যাদি। এক্ষেত্রে টিনেজাররা সবচেয়ে বেশি অসহায়।
মনঃচিকিৎসক ডাক্তার তানভীর আহমেদ বলেন, “কম-বয়সীদের এখন পুরো জীবন অনেকটাই ফোনের ওপরে। ওদের সামাজিক জীবনও অনেকটাই ফোনের ওপরে।" Source: Getty Images/ImagesBazaar
“যে-কোনো নতুন প্রযুক্তির ভাল-মন্দ দুটো দিকই আছে।”
“ফোনের ঝামেলা হলো, হাতের সাথে লেগে আছে। এ কারণে, এটা থেকে তাৎক্ষণিক মজা পাওয়া যায়। যেমন, ফেসবুকে দেখলাম, একটা ছবি দেখলাম, একটা লাইক হলো, সঙ্গে সঙ্গে মজা পাওয়া যায়। এ কারণে এটি একদম নেশার মতো।”
মোবাইল ফোনের উপকারী দিকই বেশি বলে তিনি মনে করেন। তবে, এর নেতিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন,
“কম-বয়সীদের এখন পুরো জীবন অনেকটাই ফোনের ওপরে। ওদের সামাজিক জীবনও অনেকটাই ফোনের ওপরে। সবাই মেসেজ পাঠাচ্ছে, ইউটিউব দেখছে, সব বিনোদন [উপভোগ করছে], প্রায় পুরো জীবন ফোনে।”
তিনি আরও বলেন,
“এর নেতিবাচক প্রভাব হলো, অনেকটা (মুখোমুখি) আলোচনাই হচ্ছে না। চোখে দেখা, মানে সামনা-সামনি দেখা-সাক্ষাৎ অনেক কমে যাচ্ছে টিনেজারদের মাঝে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, যেমন, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন ও অন্যান্য ডিভাইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সোশাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক সম্পর্কে বলতে গিয়ে ডাক্তার তানভীর আহমেদ বলেন,
“সোশাল মিডিয়া কমপ্যারিজন বাড়ায়।”
“সোশাল মিডিয়া নেতিবাচক তুলনা বাড়ায়। অন্যদের কী হচ্ছে, কে কেমন জীবন কাটাচ্ছে, ইত্যাদি।”
“এই নেগেটিভ কমপ্যারিজনের ক্ষেত্রে টিনেজাররা সবচেয়ে বেশি অসহায়।”
টিনেজাররা সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে দক্ষ না হলে তখন তারা এসব ডিভাইসের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বেশি সময় দিতে থাকে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পরিশেষে, সন্তানদের ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাবা-মায়েরা যেন নজর রাখেন, সে বিষয়টির প্রতি জোর দেন তিনি।মনঃচিকিৎসক ডা. তানভীর আহমেদের সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
মনঃচিকিৎসক, লেখক, টিভি-ব্যক্তিত্ব এবং সাবেক কাউন্সিলর ডা. তানভীর আহমেদ। Source: Dr Tanveer Ahmed
READ MORE
মনঃচিকিৎসক তানভীর আহমেদের সাক্ষাৎকার