করোনাভাইরাসের এই মহামারীর সময়টিতে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃবৃন্দ জনগণকে সতর্ক করে বলেন, ভবিষ্যতে সবাইকে কোভিড নিয়েই বাঁচতে হবে।
তাদের মতে, কোভিড-১৯ সহজে দূর হচ্ছে না। এর মানে হলো এই প্যান্ডেমিক শেষ হবে এবং এই ভাইরাসটি ‘এন্ডেমিক’-এ পরিণত হবে।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর রবার্ট বয় এন্ডেমিক সম্পর্কে বলেন, কোনো রোগ যখন সমাজে কম হারে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তাকে এন্ডেমিক বলা হয়।
এপিডেমিওলজিস্ট প্রফেসর পিটার কলিঙ্গন বলেন, বৈশ্বিকভাবে, সমস্ত লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে, এটি এন্ডেমিক-এ পরিণত হতে যাচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই প্যান্ডেমিক কখন শেষ হবে এবং কোভিড-১৯ এন্ডেমিক-এ পরিণত হবে?
নিউ সাউথ ওয়েলসের চিফ হেলথ অফিসার কেরি চ্যান্ট বলেন, এন্ডেমিক রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
টিকাদান কর্মসূচি যদি বর্তমান গতিতে চলতে থাকে, তাহলে অক্টোবরের শেষ নাগাদ টিকাগ্রহণের উপযুক্ত ব্যক্তিদের ৭০ শতাংশ পুরোপুরি টিকা গ্রহণ করে ফেলবে।
আর, এর আড়াই সপ্তাহ পরে, অর্থাৎ, ১৭ নভেম্বর নাগাদ, এই হার ৮০ শতাংশে উপনীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তার মানে কি এটাই যে, সিডনি ও মেলবোর্নের শান্ত-নিস্তরঙ্গ ব্যবসা-কেন্দ্রগুলোতে তখনই কর্ম-ব্যস্ততা দেখা দিবে?
প্রফেসর পিটার কোলিঙ্গন বলেন, না, সে রকমটি ঘটবে না।
তবে, প্রফেসর রবার্ট বয় বলেন, তখন পরিস্থিতি ততোটা কঠিন থাকবে না।
অস্ট্রেলিয়ানরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন এন্ডেমিক ভাইরাসের সঙ্গে বাস করছে।
যেমন, শতাধিক ধরনের ভাইরাস আছে, যেগুলো সাধারণ ঠাণ্ডা লাগার জন্য দায়ী।
আরও আছে, কয়েক ডজন এডিনোভাইরাস, যেগুলোর দ্বারা ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া এবং কনজাংটিভাইটিস হয়ে থাকে।
আর, ফ্লু-তো আছেই।
প্রফেসর বয় বলেন, তিনি দেখতে পাচ্ছেন যে, আগামী ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং এপ্রিলে লোকেরা জিপির কাছে গিয়ে এক হাতে কোভিড ভ্যাকসিন লাগাবে এবং আরেক হাতে ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন লাগাবে।
প্রফেসর কোলিঙ্গন এর সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন।
ইতোমধ্যে প্রায় ২০ মিলিয়ন ডোজ টিকা প্রদান করা হয়ে গেছে। প্যান্ডেমিক এখন প্রতিদিনই এন্ডেমিক হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।