“অস্ট্রেলিয়ায় কর্মবাজারে বৈচিত্রকে স্বাগত জানানো হয়”

A general view of a cafe in the Strand Arcade, Sydney

A general view of a cafe in the Strand Arcade. Source: AAP Image/Dan Himbrechts

কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর এই সময়টিতে লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধের কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে। অনেকেই কর্মহীন হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় কর্ম-সংস্থান, বিশেষত, অভিবাসীদের কর্ম-সংস্থানের নানা দিক নিয়ে এসবিএস বাংলার সঙ্গে কথা বলছেন ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি সিডনির পোস্ট-ডক্টরাল রিসার্চ ফেলো ড. সজল রায়।


অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি সম্পর্কে ড. সজল রায় বলেন,

“অস্ট্রেলিয়া একটি মিশ্র অর্থনীতির দেশ। এখানে নানান ধরনের কাজ রয়েছে। এটি পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে মানুষ ফুলটাইম কাজের চেয়ে ক্যাজুয়াল জব অনেক বেশি পছন্দ করে। কারণ, ক্যাজুয়াল জবের যে কর্মঘণ্টা এবং যে ওয়ার্ক-ফ্লেক্সিবিলিটি সেটি হচ্ছে ভীষণ ধরনের ব্যতিক্রমী।”
অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন,

“অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতির যে চাকা, সেটি কিন্তু অনেক দুর্বল হয়ে গিয়েছে অন্যান্য দেশের অর্থনীতির তুলনায়।”

“সামগ্রিকভাবে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা কিন্তু খুব একটি শক্তিশালী নয়।”

কোভিড-পরবর্তী বিশ্বে কাজের ক্ষেত্রে বড় একটি পরিবর্তন আসার কথা বলেন তিনি।

“যে-কোনো কর্মক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়াতে যে-পরিবর্তনগুলো আসবে সেগুলো হচ্ছে, কাজের পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা ব্যবস্থা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি এজেন্ডা হিসেবে সংজ্ঞায়িত হবে, প্রফেশনাল ওয়েলবিয়িং নিয়ে অনেক কথাবার্তা হবে।”

ওয়ার্ক ফ্রম হোম, যা কোভিড-পূর্ব যুগে সেভাবে ছিল না, সেটা হয়তো বাড়বে।

“হয়তো এ রকমও হতে পারে, ওয়ার্ক ফ্রম হোম সপ্তাহে পাঁচ দিনের পরিবর্তে হয়তো দু’দিন বা তিন দিন অফিসে যেতে হবে।”

“এছাড়া, ডিজিটাল প্লাটফর্ম তথা অনলাইনে কাজ করার প্রবণতা অনেক বেড়ে যাবে।”

“অস্ট্রেলিয়ার রাজস্ব অর্জনের বড় একটি ক্ষেত্র হচ্ছে অভিবাসী কর্মীরা।”

“অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসীদের প্রথম যে সমস্যা হয়, সেটি ভাষাগত সমস্যা। বিশেষ করে, দক্ষিণ এশিয়া থেকে বা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে যারা অস্ট্রেলিয়াতে অভিবাসন করেন, তাদের ইংরেজি উচ্চারণে কিছু সমস্যা হয়। আমরা অনেক থিক অ্যাকসেন্টে কথা বলি। সেটা অনেক সময় অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম-নেওয়া ও বেড়ে ওঠাদের বুঝতে সমস্যা হয়।”

“তৃতীয় সমস্যা হচ্ছে সফট স্কিল ডেভেলপ করা।”

“অভিবাসীদের বড় একটি অংশ নতুন করে দক্ষতা অর্জন করতে চায় না। বিদ্যমান দক্ষতারও উন্নয়ন ঘটাতে চায় না।”

“অস্ট্রেলিয়ার কর্মবাজারে কিন্তু বৈচিত্রকে স্বাগত জানানো হয়।”

অস্ট্রেলিয়ায় কিছু কিছু কাজের ক্ষেত্রে চেনা-পরিচিতির বিষয়টি বড় একটি বিষয় বলে মন্তব্য করেন ড. সজল রায়।

“অস্ট্রেলিয়ান কনটেক্সটে হু নোজ হু খুব ম্যাটার করে। এসব ক্ষেত্রে অভিবাসীরা অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন।”

“করোনা-পরবর্তী পৃথিবীতে কিন্তু ডিজিটাল স্কিল ভীষণ রকম প্রয়োজন। যেমন, আইটি-ভিত্তিক ফার্মগুলো এখন মাইক্রোসফট টিমস ব্যবহার করছে।”

“করোনা-পরবর্তী পৃথিবীতে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে অনেক বড় পরিবর্তন আসবে।”

ড. সজল রায়ের সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .

Share