অস্ট্রেলিয়ায় বেকার-সংখ্যা এই প্রথমবারের মতো এক মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেল। গত ৪২ বছর ধরে রেকর্ড সংরক্ষণ করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর প্রভাবে এবারই প্রথম এতো বেশি সংখ্যক ব্যক্তি বেকার হলো।
বহু লোকের কর্ম-সংস্থান হওয়া সত্ত্বেও জুলাই মাসে বেকারত্বের হার ৭.৫ শতাংশে পৌঁছে। এর আগের মাসে এই হার ছিল ৭.৪ শতাংশ।
অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অফ স্টাটিস্টিক্স (এবিএস) এর তথ্য অনুসারে, জুলাই মাসে ১১৪,৭০০ লোকের কর্ম-সংস্থান হয়েছে। সেই মাসটিতে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে ভাইরাস-নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করা হয়েছিল।
সে মাসে কর্ম-সংস্থান হওয়া লোকদের মাঝে পূর্ণ-কালীন কাজ পেয়েছিলেন ৪৩,৫০০ জন।
যে-সব লোক কাজে রয়েছে কিংবা সক্রিয়ভাবে কাজ খুঁজছে জুলাই মাসে তাদের অংশগ্রহণের হার বৃদ্ধি পেয়ে ৬৪.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে বেকারত্বের হার বেড়েছে।
এবিএস এর লেবার স্টাটিস্টিক্স-এর প্রধান জর্ন জার্ভিস বলেন,
“জুলাই মাসের তথ্য-উপাত্ত থেকে ভিক্টোরিয়ায় তৃতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞাগুলোর সময়ে অস্ট্রেলিয়ার শ্রমবাজারের অবস্থা জানা যায়। আগস্টের শ্রমবাজারের তথ্য-উপাত্ত থেকে চতুর্থ পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞাগুলোর প্রভাব সম্পর্কে জানা যাবে।”
বিআইএস অক্সফোর্ড ইকনোমিক্স-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ সারাহ হান্টার আশা করেন, ভিক্টোরিয়ায় চতুর্থ পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞাগুলোর পর আগস্টে কর্ম-সংস্থান বাড়বে।
তিনি বলেন,
“জবসিকার পেমেন্ট পাওয়ার জন্য জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ খোঁজার যে শর্ত রয়েছে, তা আগস্টের শুরুর দিকে পুনরায় চালু করা হয়েছে।”
রিজার্ভ ব্যাংক আশঙ্কা করছে, বেকারত্বের হার এ বছরের শেষ নাগাদ ১০ শতাংশে পৌঁছে যাবে। আর, দুই বছরের মধ্যে তা প্রায় সাত শতাংশ থাকবে।
রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর ফিলিপ লোই শুক্রবার রাজনীতিবিদদের মুখোমুখি হবেন। তখন তাকে এ বিষয়ে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা হবে।