তথাকথিত “ওয়েলফেয়ার চিটস” অর্থাৎ, যারা কিনা ধোঁকাবাজি করে সরকারি কল্যাণ ভাতা গ্রহণ করে থাকে, তাদের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করছিল রবোডেট স্কিম। তবে, এই স্কিমের মাধ্যমে ভুলবশত সে-সব লোক চিহ্নিত হয়েছিলেন এবং আর্থিক চাপের শিকার হয়েছিলেন, যারা আদপে কোনো ধোঁকাবাজির আশ্রয় গ্রহণ করেন নি।
সম্প্রতি, রবোডেট স্কিম পরিচালনার ক্ষেত্রে কমনওয়েলথ-এর সোশ্যাল সিকিউরিটি সিস্টেমের ব্যর্থতার কথা শুনেছে ফেডারাল কোর্ট।
গত জুন মাসে, আদালতকে বলা হয়, ইনকাম অ্যাভারেজিং টুলগুলো ব্যবহৃত হয়েছে ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে। এর ফলে অসহায় ব্যক্তিরা মানসিক চাপ ও যন্ত্রণার শিকার হয়েছেন।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
জাস্টিস বার্নার্ড মারফি ৮.৪ মিলিয়ন ডলার খরচের অনুমোদন দিয়েছেন এবং ফেডারাল সরকার ও রবোডেট স্কিমের শিকার ব্যক্তিদের মাঝে ১.২ বিলিয়ন ডলারের নিষ্পত্তি করেছেন।
আইনজীবি পিটার গর্ডন বলেন, যাদের পরিবারের কোনো প্রিয়জন আত্মহত্যা করেছে, তাদের মধ্য থেকে অনেকেই এর জন্য এই ওয়েলফেয়ার স্কিমকে দায়ী করছেন। তারা সরকারের কাছে এর জবাব চান।
একজন ভিক্টিমের মা অভিযোগ করেন যে, তার ছেলের আত্মহত্যার পেছনে রবোডেটের বড় ভূমিকা ছিল। কারণ, সেন্টারলিঙ্ক এবং ঋণ আদায়কারীরা তার পেছনে লেগে ছিল।
লেবার পার্টির বিল শর্টেন বলেন, অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে এটি একটি অন্যতম বড় ব্যর্থতা।
ওয়েলফেয়ার ভাতা গ্রহণকারীদের ট্যাক্স ও সেন্টারলিঙ্কের তথ্য-উপাত্ত স্বয়ংক্রিয়ভাবে তুলনা করে দেখা হতো যে, তাদেরকে অতিরিক্ত ভাতা প্রদান করা হয়েছে কিনা। এভাবে, সরকার তাদের ঋণ নিরূপণ করতো।
এ বিষয়টিকে ২০১৯ সালে বে-আইনী ঘোষণা করা হয়।
ফেডারাল সরকার এই বিষয়টির নিষ্পত্তি করেছে কোনো ধরনের দায়-দায়িত্ব স্বীকার না করেই।
ফেডারাল ট্রেজারার জশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, এই প্রোগ্রামের ফলে যে ক্ষয়-ক্ষতি সাধিত হয়েছে, সেজন্য এর আগে সরকার দুঃখ প্রকাশ করেছিল।
অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিল অফ সোশ্যাল সার্ভিস বলেছে, সোশ্যাল সিকিউরিটি অধিকারসমূহের জন্য তারা লড়াই চালিয়ে যাবে।
কাউন্সিলটি আরও বলেছে, এই রায়ের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে যে, শক্তিশালী আইনী সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে, যেন এ ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।