নির্ভর করবে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত বা পারিবারিক অবস্থা ও গত ১৪ দিনে তারা কত আয় করেছেন তার ওপর। অবস্থাভেদে দুই সপ্তাহ পর পর এই ভাতা প্রদান করা হয়।
যেমন আবেদিনকারী যদি সিঙ্গেল হোন এবং তার যদি সন্তান না থাকে তবে তিনি সর্বোচ্চ ৫৬৫ ডলার পাবেন, আর সন্তানসহ সিঙ্গেল হলে পাবেন ৬১২ ডলার। সিঙ্গেল না হলে প্রতি পার্টনার পাবেন সর্বোচ্চ ৫১০ ডলার করে। (সূত্র: )
JobSeeker payment পেতে যেভাবে আবেদন করতে হবে
অনলাইনে আবেদন করতে কম্পিউটার বা স্মার্ট ফোনে এ্যাকাউন্ট খুলতে হবে, এজন্য প্রয়োজন হবে ইমেইল আইডি, সহজে লগইন করতে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নাম্বার প্রয়োজন হতে পারে। এখানে উল্লেখ্য যে পুরো প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ, এজন্য অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে এমনভাবে মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে।
এরপর myGov একাউন্ট থেকে সেন্টারলিংকের সার্ভিস লিংক করতে হবে। এই লিঙ্কিং-এর জন্য প্রয়োজন হবে কাস্টমার রেফারেন্স নাম্বার (CRN); আবেদনকারী যদি আগে সেন্টারলিংক ব্যাবহার না করে থাকেন তবে তাকে সেন্টারলিংকে ফোন করে কাস্টমার রেফারেন্স নাম্বার (CRN) নিতে হবে।
যাদের কাস্টমার রেফারেন্স নাম্বার (CRN) আছে তারা myGov অ্যাকাউন্ট থেকে সেন্টারলিংক লিঙ্কিং করতে ক্লিক করুন এবং পরবর্তি ধাপগুলো অনুসরন করুন। আবেদনকারীর ব্যাংক ডিটেলসহ বেশ কিছু প্রশ্ন করা হতে পারে। এরপর Centrelink সিলেক্ট করে make your claim-এ ক্লিক করুন।
আপনি কোন কারণে যদি সেন্টারলিংকে ফোন করে কাস্টমার রেফারেন্স নাম্বার (CRN) পেতে ব্যর্থ হোন কিংবা একাউন্ট থাকার পরেও ক্লেইম করতে ব্যর্থ হোন, তবে myGov একাউন্টটিতে সেন্টারলিংকের ভাতা পেতে একটি ইনফরমেশন পাবেন 'Claiming Centrelink payment’ নামে যেখানে আপনাকে রেজিস্টার করতে বলা হবে। 'Register intention to claim’ -এই লেখাটিতে ক্লিক করে রেজিস্টার করতে বলা হবে। এখানে উল্লেখ্য যেদিন থেকে আবেদনকারী রেজিস্টার করবেন সেদিন থেকেই পেমেন্টের জন্য বিবেচিত হবেন, প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেরি হলেও ।
JobSeeker payment পাওয়ার যোগ্যতা কি?
২২ থেকে ৬৬ বছর বয়সী সকল অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক এবং পার্মানেন্ট রেসিডেন্টরা এই JobSeeker payment পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে।
এই পেমেন্ট পেতে সরকার liquid assets test waiting period স্খগিত করেছে। যার মানে হচ্ছে JobSeeker payment পাওয়ার জন্য আপনাকে আপনার সঞ্চিত অর্থ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। এক্ষেত্রে আপনাকে চাকরী প্রার্থী বলে বিবেচনা করা হবে অথবা চাকরি করতে অক্ষম বা অসুস্থ বিবেচনা করা হবে। তবে এক্ষেত্রে আপনার পার্টনারের আয় দেখা হবে।
সরকার ‘করেনা ভাইরাস সাপ্লিম্যান্ট’ হিসেবে তার ওয়েলফেয়ার পেমেন্ট পাক্ষিক ৫৫০ ডলার হারে বাড়িয়েছে। যারা সিঙ্গেল কিংবা পার্টনারসহ প্যারেন্টিং পেমেন্ট পেতেন তারাও এই ভাতা পাবেন। যে সকল ফুল-টাইম ছাত্র ছাত্রীরা Austudy, Abstudy বা ইয়ুথ এ্যালাউন্স পেয়ে থাকেন তারাও এই ভাতা পাবেন।
JobSeeker payment পেতে যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে
JobSeeker payment-এর আবেদনকারীকে কিছু ডকুম্যান্ট দিতে হবে, যেমন ট্যাক্স ফাইল নাম্বার, ব্যাংক ডিটেইল এবং ফাইনান্সিয়াল স্টেটমেন্ট।
পাসপোর্ট, ড্রাইভার লাইসেন্স, বার্থ সার্টিফিকেটসহ বেশ কিছু ডকুমেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এর জন্য সেন্টারলিংক অফিসে যেতে হবে না, ফোনেই করা যাবে। তবে এজন্য অবশ্যই পরিচয় নিশ্চিত করার ডকুমেন্টগুলো তৈরী রাখতে হবে।
আবেদনকারী যদি কাজে বহাল থাকেন অথবা নতুন কাজ পান তারপরেও তিনি JobSeeker payment পাওয়ার যোগ্য হবেন। এক্ষেত্রে তিনি কি পরিমান কাজ করছেন তা বিবেচনা করা হবে। অর্থাৎ আপনি যদি পার্ট-টাইম বা ক্যাজুয়াল কর্মী হন এবং আপনার কাজের ঘন্টা হ্রাস পেয়ে থাকে তবে তারপরেও আপনি JobSeeker payment পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন। এক্ষেত্রে আবেদনকারীর আয়ের উপর নির্ভর করবে তিনি কত হারে এই পেমেন্ট পাবেন। কারো পাক্ষিক আয় যদি ১১০০ ডলারের নিচে হয় তবে তিনি ৫৬৫ ডলার করে ‘করোনা ভাইরাস সাপ্লিমেন্ট’ পাবেন।
২৭ এপ্রিল ২০২০ থেকে সোল ট্রেডার্স এবং সেল্ফ এ্যামপ্লয়েডরাও তাদের ব্যবসা চালিয়ে রাখার পাশাপাশি এই পেমেন্টের জন্য বিবেচিত হবে।
এছাড়া কাউকে যদি কোরোনাভাইরাসের কারণে সেলফ আইসোলেট বা বিচ্ছিন্ন থাকতে হতে হয় তারাও এককালিন ক্রাইসিস পেমেন্ট পাবেন।
আরো পড়ুনঃ