অস্ট্রেলিয়ায় কোভিড-১৯ টিকাদানের হার বাড়ছে। ট্রেজারার জশ ফ্রাইডেনবার্গ আশা করছেন যে, নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করা হলে মানুষ তাদের কাজে ফিরতে পারবে। তখন কোভিড-১৯ ডিজাস্টার রিলিফ পেমেন্টের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসবে।
যখন ৭০ শতাংশ ডাবল ভ্যাকসিনেশন রেটের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হবে, তখন যে-সমস্ত ব্যক্তি কোভিড-১৯ ডিজাস্টার রিলিফি পেমেন্ট গ্রহণ করছেন, তাদেরকে প্রতি সপ্তাহে এর জন্য আবেদন করতে হবে। আর যখন ৮০ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হবে, তখন এই পেমেন্ট কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
৮০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার পর প্রথম সপ্তাহে সর্বোচ্চ পেমেন্ট ৭৫০ ডলার থেকে কমিয়ে ৪৫০ ডলার করা হবে এবং এর আরও এক সপ্তাহ পর তা আরও কমিয়ে ৩২০ ডলার করা হবে।
আর, তৃতীয় সপ্তাহে এই পেমেন্ট বন্ধ করা হবে।
কেউ যদি তার কাজ হারানোর জন্য জব সিকার পেমেন্টের সঙ্গে সম্পূরক হিসেবে অর্থ লাভ করেন, তাহলে তা ভ্যাকসিনেশনের ৮০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হওয়ার পর প্রথম সপ্তাহে কমিয়ে ২০০ ডলার থেকে ১০০ ডলার করা হবে। আরও এক সপ্তাহ পরে তা বন্ধ করা হবে।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতির সবচেয়ে বেশি ধাক্কা লেগেছে সাউথ-ওয়েস্ট এবং ওয়েস্টার্ন সিডনিতে। দীর্ঘদিন ধরে সেসব এলাকায় লকডাউন জারি থাকায় লোকজন কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এবং কোনো কোনো ব্যবসা বন্ধ রয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস লেবার পার্টির স্মল বিজনেস, প্রপার্টি অ্যান্ড মাল্টিকালচারালিজম বিষয়ক মুখপাত্র স্টেফান ক্যাম্পার বলেন, ফেডারাল কিংবা স্টেট গভার্নমেন্টের পক্ষে সহায়তা-প্রদান করা বন্ধ করার জন্য এটা সঠিক সময় নয়। তিনি বলেন, ওয়েস্টার্ন সিডনির ব্যবসাগুলোকে সহায়তা-প্রদান চালিয়ে যাওয়া উচিত।
ভিক্টোরিয়ায় কোভিড-সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। সত্যিকার অর্থেই জরুরি প্রয়োজন দেখা দিলে শুধুমাত্র তখনই ট্রিপল জিরো (০০০) নম্বরে ফোন করতে বলা হচ্ছে।
অ্যাম্বুলেন্স ভিক্টোরিয়ার একজিকিউটিভ ডাইরেক্টর অফ ক্লিনিকাল অপারেশন্স, মার্ক স্টেফানসন বলেন, জনগণের চাহিদা মেটানোর জন্য অতিরিক্ত রিসোর্স কাজে লাগানো হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের ভিক্টোরিয়া চাপ্টারের প্রেসিডেন্ট ড. রডরিক ম্যাকরে বলেন, ভিক্টোরিয়ানদেরকে পূর্ব-প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। তাদের উচিত টিকা গ্রহণ করা এবং চলাফেরা সীমিত করা।
ভিক্টোরিয়ায় হেলথ ডিপার্টমেন্টের বিরুদ্ধে হোটেল কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থায় অকুপেশনাল হেলথ অ্যান্ড সেফটি অ্যাক্ট লঙ্ঘনের ৫৮টি অভিযোগ তুলেছে ওয়ার্কপ্লেস রেগুলেটর।
গত বছরের মার্চ থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সময়কালে হোটেল কোয়ারেন্টিনের ক্ষেত্রে আইন-লঙ্ঘনের এসব ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়। ভিক্টোরিয়ায় তখন কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় তরঙ্গ আঘাত হানে।
ওয়ার্কসেফ ভিক্টোরিয়া অভিযোগ করছে যে, সংক্রমণ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত দিক-নির্দেশনা ও প্রশিক্ষণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে ডিপার্টমেন্ট। যার ফলে কর্মীরা এবং সাব-কন্ট্রাক্টের অধীনে থাকা নিরাপত্তা-প্রহরীরা ঝুঁকিতে নিপতিত হয়েছিল।
এই অক্টোবরে এই মামলাটি আদালতে ওঠার কথা রয়েছে। প্রতিটি অভিযোগের জন্য সর্বোচ্চ ১.৬৪ মিলিয়ন ডলার করে জরিমানার বিধান রয়েছে।
বিরোধী দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক মুখপাত্র জর্জি ক্রোজিয়ার বলেন, ভিক্টোরিয়ার ইতিহাসে সরকারী প্রশাসনের এটাই সবচেয়ে বড় ব্যর্থতার নজির। এজন্য তিনি প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজকে দায়ী করেন।
কুইন্সল্যান্ড হেলথ অথরিটিজ বলছে, ব্রিসবেনে কমিউনিটিতে সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ব্রিসবেন, মোরটন বে লোকাল গভার্নমেন্ট এরিয়ার পর গোল্ডকোস্ট পর্যন্ত এখন মাস্ক পরিধান করার নিয়ম বিস্তৃত করা হয়েছে।
কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারী নিয়ে আপনার ভাষায় বিদ্যমান স্বাস্থ্য ও সহায়তা সম্পর্কিত তথ্যাবলীর জন্য দেখুন:
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।